ছাত্রবন্ধু বহুমুখী সমবায় সমিতি
Student & Friends Welfare Association
এর
উপ-আইন, ২০১৬
১. প্রস্তাবনাঃ
...... এই সময় তাঁহাদের সম্মানজনক কোন সাংস্কৃতিক, সৃষ্টিধর্মী, সেবামূলক ও অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে সমন্বিতভাবে সম্পৃক্ত করা সম্ভব হইলে তাহা যেমন নিজেদের কল্যাণে লাগিবে তেমনি এলাকার আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের সহায়ক হইবে।
২. শিরোনামঃ
এই সমিতি “ছাত্রবন্ধু বহুমুখী সমবায় সমিতি” নামে পরিচিত হইবে।
৩. অধিক্ষেত্রঃ
সেনবাগ উপজেলা এবং তার আশেপাশের সমগ্র এলাকা এই সমিতির অধিক্ষত্রভূক্ত হইবে এবং ছাত্রবন্ধু স্পোর্টিং ক্লাবের সকল সদস্যবৃন্দ এই সমিতির আওতাভূক্ত বলিয়া গণ্য হইবেন। সদস্যের মৃত্যুজনিত কারণে তার পরিবারের সদস্যগণ সমিতির আওতাভূক্ত বলে গণ্য হইতে পারিবে। তবে অনারারী সদস্যগণের ক্ষেত্রে এইরুপ অধিক্ষেত্র সীমিত থাকিবে না।
৪. প্রধান কার্যালয়ঃ
এই সমিতির প্রধান কার্যালয় নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার ৪নং কাদরা ইউনিয়ন এর জামালপুর মোড় (তালুকদার মার্কেট) এ অবস্থিত হইবে।
৫. সমিতির সাধারণ নীতিঃ
(ক) এই সমিতি একটি সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক স্বেচ্ছাসেবি কল্যাণধর্মী সংগঠনরুপে গণ্য হইবে।
(খ) গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ সমুন্নত রাখিয়া, অন্যের প্রতি ও নিজেদের মধ্যে শ্রদ্ধাবোধ নিশ্চিত করিয়া, মৌলিক অধিকার ও স্বাধীনতার নিশ্চয়তা বিধান করিয়া এই সমিতি ইহার কার্যক্রম পরিচালনা করিবে।
(গ) সমিতির সকল সদস্য ও সদস্য পরিবারের সদস্যদের প্রতি সহমর্মিতা ও সহানুভূতি প্রকাশ, সকলের মধ্যে শুদ্ধাচার চর্চার নীতিতে এই সমিতি পরিচালিত হইবে এবং পরস্পরের কল্যাণ সাধনের প্রচেষ্টায় সর্বদা রত থাকা ইহার অন্যতম নীতি হইবে।
(ঘ) ক্লাবের এবং সমিতির সকল ধরণের উন্নয়ন ও কল্যাণে সর্বোতভাবে চেষ্টা করা ও সহযোগিতা করার লক্ষ্যে ইহার কার্যক্রম পরিচালিত হইবে।
৬. সংজ্ঞাঃ
অন্যত্র অন্য কিছু বুঝাইলেও নিম্মবর্ণিত শব্দ ও শব্দগুচ্ছ দ্বারা নিম্মবর্ণিত অর্থই বুঝাইবে।
(ক) সমিতি বলিতে ছাত্রবন্ধু বহুমুখী সমবায় সমিতি কেই বুঝাইবে।
(খ) নির্বাচন কমিশন বলিতে এ উপ আইনের অধীনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং ২ জন নির্বাচন কমিশনার লইয়া গঠিত নির্বাচন কমিশনকে বুঝাইবে।
(গ) প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলিতে সমিতির উপ আইনের অধীনে কার্যনির্বাহী পরিষদের অনুমোদনক্রমে সভাপতি কর্তৃক নিয়োজিত প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে বুঝাইবে।
(ঘ) উপ আইন বলিতে, "ছাত্রবন্ধু বহুমুখী সমবায় সমিতি" এর উপ আইনকে বুঝাইবে।
(ঙ) নির্বাচন কমিশনার বলিতে সমিতির উপ আইনের অধীনে কার্যনির্বাহী পরিষদের অনুমোদনক্রমে সভাপতি কর্তৃক নিয়োজিত নির্বাচন কমিশনারকে বুঝাইবে।
(চ) ব্যবস্থাপনা পরিষদ বলিতে এই উপ আইনের অধীনে নির্বাচিত ব্যবস্থাপনা পরিষদকে বুঝাইবে।
(ছ) বিধিমালা বলিতে এই উপ আইনের অধীনে প্রণীত বিধিমালাকে বুঝাইবে।
(জ) উপ পরিষদ বলিতে ব্যবস্থাপনা পরিষদ অথবা সভাপতিকে সহায়তা করার জন্য কোন বিশেষ উদ্দেশ্য অর্জন বা কোন বিশেষ কার্য সম্পাদনের জন্য বিশেষ নিয়মে গঠিত উপ পরিষদকে বুঝাইবে।
(ঝ) বৎসর বলিতে ১ জানুয়ারি হইতে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত পঞ্জিকা বৎসরকে বুঝাইবে।
৭. লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যঃ
নিম্মবর্ণিত লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য অর্জনের জন্য এই সমিতি প্রতিষ্ঠিত হইল:
(ক) সমিতির সদস্য এবং সদস্য পরিবারের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নসহ সামগ্রিক কল্যাণ সাধন।
(খ) সম্ভাব্য সকল সহযোগিতা ও কর্মকান্ডের মাধ্যমে ইউনিয়নের সকল বাসিন্দাদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে সহায়তা প্রদান।
(গ) সমিতির সদস্য এবং তাহাদের পরিবারের সদস্যদের মাঝে পারস্পরিক ভাতৃত্ববোধ, সহমর্মিতা ও আন্তরিকতা বৃদ্ধি এবং সকলের মধ্যে শুদ্ধাচার অনুশীলনে প্রবৃত্ত করা।
(ঘ) সদস্যদের পেশাগত দক্ষতা ও উৎকর্ষতা সাধন এবং পারস্পরিক মিথষ্ক্রিয়ার মাধ্যমে চাকুরির ক্যারিয়ার উন্নয়নে সহায়তা করা।
(ঙ) এলাকার শিক্ষিত ও বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে দিক নির্দেশনামূলক পরামর্শের মাধ্যমে উপযুক্ত কর্মে নিয়োগে সহায়তা করা।
(চ) সদস্যদের জন্য নির্মল বিনোদনের সুযোগ সৃষ্টি করা।
৮. সমিতির কার্যাবলীঃ
সমিতির লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য অর্জনের জন্য সমিতি নিম্মবর্ণিত কার্যক্রম গ্রহণ করিতে পারিবে:
(ক) সময়ে সময়ে পূনর্মিলনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা,
(খ) সদস্য পরিবারের সন্তানদের শিক্ষা ক্ষেত্রে উৎসাহিত করার জন্য শিক্ষাবৃত্তি প্রদানের ব্যবস্থা করা,
(গ) মেধাকে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে ইউনিয়নের শিক্ষার্থীদের জন্য মেধা পুরস্কার প্রচলন করা,
(ঘ) বেকারদের জন্য কর্মসংস্থান বিষয়ক সেমিনার/প্রশিক্ষণ/ওয়ার্কসপ আয়োজন এবং ব্যক্তিগত পর্যায়ে প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান,
(ঙ) অবসররত সদস্যদের এবং সদস্য পরিবারের বেকারদের জন্য স্বকর্মসংস্থানের জন্য উপযুক্ত প্রকল্প গ্রহণ,
(চ) অসুস্থ্য সদস্যদের জন্য চিকিৎসা সহায়তা প্রদান,
(ছ) লাইব্রেরি অথবা বিনোদন কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা,
(জ) স্মরণিকা বা অন্য কোন প্রকাশনার মাধ্যমে এলাকার কৃষ্টি, সংস্কৃতি, ঐতিহ্য এবং মেধা বিকাশের ব্যবস্থা করা,
(ঝ) এলাকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহকে শিক্ষামূলক সহায়তা প্রদান,
(ঞ) সদস্যদের আর্থিকভাবে স্বচ্ছল করে তোলার লক্ষ্যে উৎপাদনমূলক কর্মকান্ডে অংশগ্রহণ এবং তাদের মধ্যে সঞ্চয়ের অনুশীলন করার ব্যবস্থা করা।
(ট) জাতীয় দিবসসমূহ উৎযাপন এবং তাতে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করা।
(ঠ) সাধারণ পরিষদের বিবেচনা অনুযায়ী অন্যকোন আর্থ-সামাজিক ও কল্যাণমূখী কার্যক্রম গ্রহণ।
৯. সদস্যপদঃ
সমিতিতে ৩ ধরণের সদস্যপদ থাকিবে। যথা-
ক. সাধারণ সদস্যপদ খ. আজীবন সদস্যপদ গ. অনারারি সদস্য
১০. সমিতির সদস্য পদের যোগ্যতা ও শর্তঃ
(ক) সমিতির সাধারণ সদস্যপদ কেবলমাত্র ছাত্রবন্ধু স্পোর্টিং ক্লাবের সকল সদস্যদের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকিবে;
(খ) সমিতির সাধারণ সদস্যের মৃত্যুতে তাহার ওয়ারিশ বা ওয়ারিশগণের মনোনীত প্রতিনিধি ওয়ারিশ সমিতির সদস্যভূক্ত হইতে পারিবেন।
(গ) সমিতির সাধারণ সদস্যপদের জন্য ১০০.০০ টাকা ভর্তি ফি প্রদান করিতে হইবে।
(ঘ) যাহারা সাধারণ সদস্যরূপে নির্বাচিত হইবেন তাহাদের প্রত্যেককেই ৫০০.০০ টাকা মূল্যের কমপক্ষে ১ (এক) টি শেয়ার খরিদ করিতে হইবে ও সদস্যের তালিকা বইতে স্বাক্ষর করিতে হইবে এবং সমিতির উপ-আইনসমূহ মানিয়া চলিবার প্রতিশ্রুতি দিতে হইবে।
(ঙ) কোন সাধারণ সদস্য সাধারণ পরিষদ কর্তৃক নির্ধারিত এককালিন অর্থ প্রদানপূর্বক আজীবন সদস্য হইতে পারিবেন।
(চ) সাধারণ পরিষদের সুপারিশের প্রেক্ষিতে উপদেষ্টা পরিষদের অনুমোদনক্রমে দেশের কোন জাতীয় খ্যাতিসম্পন্ন ও বরেণ্য ব্যক্তিত্বকে অনারারি সদস্যপদ প্রদান করা যাইবে। অনারারী সদস্যকে কোন ভর্তি ফি, মাসিক চাঁদা পরিশোধ বা শেয়ার ক্রয় করিতে হইবে না।
১১. সদস্য নির্বাচনঃ
(ক) সাধারণ সদস্য হইবার জন্য সমিতির ব্যবস্থাপনা পরিষদ কর্তৃক নির্ধারিত নিয়মে নির্ধারিত ফরমে আবেদন করিতে হইবে।
(খ) ব্যবস্থাপনা পরিষদ তাহার আবেদন মঞ্জুর অথবা উপযুক্ত কারণ থাকিলে না-মঞ্জুর করিতে পারিবেন ।
(গ) সদস্য পদ মঞ্জুর অথবা না-মঞ্জুর হওয়ার সিদ্ধান্ত ৩০(ত্রিশ) দিনের মধ্যে আবেদনকারীকে জানাইতে হইবে।
(ঘ) আবেদনপত্র মঞ্জুর হইলে নির্ধারিত ভর্তি ফি, বকেয়া চাঁদা, ০১(এক) টি শেয়ার ক্রয় করিলে তিনি সদস্যভূক্ত বলিয়া গণ্য হইবেন।
(ঙ) শেয়ার ক্রয়ের তারিখ হইতে সাধারণ সদস্যপদের মেয়াদ গণনা করা হইবে
১২. সদস্যের মনোনীত ব্যক্তিঃ
(ক) কোন সদস্য তাহার মৃত্যুর পর তাহার শেয়ার অথবা অন্য স্বত্বের হস্তান্তর করিয়া দেওয়ার জন্য কিংবা তাহার স্বত্ব অথবা শেয়ার মূল্য জমা দেওয়ার জন্য লিখিতভাবে কোন ব্যক্তিকে নমিনী মনোনীত করিতে পারিবেন। সদস্য ইচ্ছা করিলে যে কোন সময় তাহার মনোনয়ন লিখিতভাবে পরিবর্তন বা বাতিল করিতে পারিবেন। সদস্য ও মনোনীত ব্যক্তি উভয়েই মৃত্যুবরণ করিলে দেশের প্রচলিত উত্তরাধিকার আইন প্রযোজ্য হইবে।
(খ) এই ভাবে মনোনীত ব্যক্তিদের ঠিকানাসহ একটি নামের তালিকা বহি সমিতিতে সংরক্ষণ করিতে হইবে।
(গ) মনোনীত ব্যক্তির মৃত্যু হইলে সদস্য উহা সমিতিকে জানাইবেন ।
১৩. সদস্যপদ ত্যাগঃ
কোন সদস্য যদি নিজে অথবা জামিনদার হিসাবে সমিতির নিকট কোন প্রকার দেনাদার না থাকেন তাহা হইলে ৩ মাসের লিখিত নোটিশ দিয়া সদস্যপদ ত্যাগ করিতে পারিবেন ।
১৪. সদস্যগণকে জরিমানা, সাময়িক বরখাস্ত, বহিস্কার ও তাদের শেয়ার বাজেয়াপ্তি এবং সদস্যপদ স্থগিতঃ
(ক) ব্যবস্থাপনা পরিষদ উপ-আইনের বিধান অনুযায়ী সাধারণ সভায় অনুমোদন সাপেক্ষে কোন সদস্যকে নিম্মবর্ণিত কারণে জরিমানা, সাময়িক বহিস্কার বা তাহার শেয়ার বাজেয়াপ্ত এবং তাহাকে চূড়ান্ত বহিস্কার করিতে পারিবেঃ
(১) ইচ্ছাপূর্বক উপ-আইন বা সমিতি প্রণীত অন্যকোন বিধান লংঘন করিলে, অথবা
(২) সমিতির স্বার্থ হানিকর বা ক্ষতিকর কার্য করিলে বা সাধারণ সভার নির্দেশ অমান্য করিলে অথবা
(৩) সমিতির সাথে কোন বিরোধে আরবিট্রেশনের পূর্বে কোন আদালতে সমিতির বিরুদ্ধে মামলা করিলে।
(খ) দুই বৎসর বা ততোধিক সময়ের জন্য বার্ষিক চাঁদা অপরিশোধিত থাকিলে তাহার সদস্যপদ স্থগিত হইবে।
(গ) ব্যবস্থাপনা পরিষদ কোন অভিযুক্ত সদস্য সম্পর্কে উপধারা (ক) এবং (খ) এ বর্ণিত সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়ার পূর্বে উক্ত সদস্যকে আত্মপক্ষ সমর্থন করিবার সুযোগ দিবেন।
(ঘ) কোন সদস্য সাময়িক বহিস্কার বা বহিস্কার হইলে অনুরুপ বহিস্কারকালিন সময়ের জন্য সদস্যপদ এর যাবতীয় সুযোগ/অধিকার হইতে বঞ্চিত হইবেন।
(ঙ) ব্যবস্থাপনা পরিষদের সভায় জরিমানা, সাময়িক বহিস্কার, চূড়ান্ত বহিস্কার, সদস্যপদ স্থগিত অথবা শেয়ার বাজেয়াপ্তির আদেশের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট সদস্যের কোন আপীল আবেদন থাকিলে যত শীঘ্র সম্ভব ব্যবস্থাপনা পরিষদ একটি বিশেষ সাধারণ সভা আহবান করিবে এবং উক্ত আবেদন সেই বিশেষ সাধারণ সভায় পেশ করিবে। সাধারণ সভা এই বিষয়ে উপযুক্ত সিদ্ধান্ত দিবে এবং এই সিদ্ধান্ত চুড়ান্ত বলিয়া গণ্য হইবে।
১৫. সদস্যপদের অবসান
(ক) নিম্নলিখিত কারণে সদস্যপদের অবসান হইবেঃ
(১) উপ-আইন অনুসারে সমস্ত শেয়ার বাজেয়াপ্ত বা হস্তান্তরিত হইলে বা
(২) সদস্যপদের যোগ্যতা হারাইলে, বা
(৩) সদস্য পদত্যাগ করিলে, বা
(৪) কোন সদস্য চুড়ান্তভাবে বহিস্কৃত হইলে, বা
(৫) সদস্যের মৃত্যু ঘটিলে, বা
(৬) আদালত কর্তৃক দেউলিয়া বা বিকৃত মস্তিষ্ক সাব্যস্ত হইলে, বা
(৭) নৈতিক ভ্রষ্টচারের অপরাধে আদালত কর্তৃক দন্ডিত হইলে ।
(খ) সদস্যপদের অবসানের বিষয়ে একটি আনুষ্ঠানিক আদেশ জারী করিতে হইবে। উক্ত আদেশে তার পাওনা ও অধিকার সম্পর্কে উল্লেখ থাকিবে।
১৬. সদস্যপদ পুনর্বহালঃ
সদস্যপদ অবসানের পর তাহা পুনর্বহালের জন্য ব্যবস্থাপনা পরিষদের বরাবরে আবেদন করিতে হইবে। ব্যবস্থাপনা পরিষদের সভায় সংখ্যাধিক্যের সম্মতিতে সদস্যপদ পুনর্বহাল করা যাইতে পারে।
১৭. সদস্যপদ অবসানের প্রতিফলঃ
সদস্যপদের অবসান হইলে সমিতি কর্তৃক দেয় সুবিধা প্রাপ্তির অধিকারী হইবেন না।
১৮. মূলধনঃ
এই উপ-আইন মানিয়া নিম্নলিখিতভাবে সমিতির মুলধন সংগ্রহ করা যাইবেঃ
(ক) সাধারণ শেয়ার বিক্রয় করিয়া
(গ) সদস্যের নিকট হইতে আমানত গ্রহণ করিয়া
(ঙ) সরকার বা অন্য কোথাও হইতে দান/ সাহায্য গ্রহণ করিয়া
(চ) সমিতির ব্যবসায় বা অন্য কোন উৎসের আহরিত আয় হইতে
(ছ) সরকার বা অন্য কোন উৎস হইতে ঋণ গ্রহণ করিয়া
(জ) বার্ষিক চাঁদা আদায় (ব্যবস্থাপনা পরিষদ কর্তৃক নির্ধারিত) করিয়া
(ঞ) ব্যবস্থাপনা পরিষদ কর্তৃক ধার্যকৃত অন্য কোন খাতের অর্থ হইতে।
১৯. শেয়ার মূলধনঃ
(ক) সমিতির প্রাথমিক অনুমোদিত শেয়ার মূলধনের পরিমাণ হইবে ১০.০০ (দশ) লক্ষ টাকা। প্রতিটি শেয়ারের মূল্য হইবে ৫০০.০০ টাকা। সদস্য ব্যতীত অন্য কোন ব্যক্তি শেয়ার ক্রয় করিতে পারিবেন না।
(খ) কোন সদস্য সমিতির অনুমোদিত শেয়ার মুলধনের পাঁচ শতাংশের অধিক শেয়ার খরিদ করিতে পারিবেন না।
(গ) ব্যবসা সম্প্রসারণের লক্ষ্যে ব্যবস্থাপনা পরিষদ সাধারণ সভা বা বিশেষ সাধারণ সভার অনুমোদন সাপেক্ষে সময়ে সময়ে শেয়ার মূলধনের পরিমাণ বৃদ্ধি করিতে পারিবে ।
২০. শেয়ার সার্টিফিকেটঃ
(ক) প্রত্যেক সদস্য বিনা মূল্যে সমিতির সীলমোহর অংকিত শেয়ার সার্টিফিকেট পাইবেন। উক্ত সার্টিফিকেটে তাহার প্রদত্ত শেয়ারের সংখ্যা উল্লেখিত থাকিবে। উহা সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক কর্তৃক স্বাক্ষরিত থাকিবে।
(খ) উক্ত সার্টিফিকেট হারাইয়া গেলে বা নষ্ট হইলে প্রতি সার্টিফিকেট বাবদ ২৫০/- টাকা জমা দিলে নতুন সার্টিফিকেট দেওয়া যাইবে। তবে হারানো বা পুরাতন সার্টিফিকেট সন্বন্ধে ব্যবস্থাপনা পরিষদ যেইরূপ প্রমাণ চাহিবে তাহা দাখিল করিতে হইবে।
২১. শেয়ার হস্তান্তরঃ
ব্যবস্থাপনা পরিষদের অনুমতি লইয়া যে কোন সদস্য অন্য সদস্যকে বা যাহাকে পরিষদ সদস্যস্বরূপ ভর্তি করিতে ইচ্ছুক, সদস্য হইবার যোগ্য এইরূপ ব্যক্তিকে পরিষদ কর্তৃক নির্ধারিত নিয়মে লিখিত দলিল দ্বারা তাহার শেয়ার হস্তান্তর করিতে পারিবেন।
২২. শেয়ার বাজেয়াপ্তিঃ
(ক) কোন সদস্য বহিস্কার বা অপসারিত হইলে ব্যবস্থাপনা পরিষদ উপযুক্ত কারণ লিপিবদ্ধ করিয়া সাধারণ সভার অনুমোদন সাপেক্ষে তাহার অংশের শেয়ারমূল্য বাজেয়াপ্ত করিতে পারিবে। বাজেয়াপ্ত শেয়ারের কোন লভ্যাংশ থাকিলে তাহাও বাজেয়াপ্ত হইবে।
(খ) ব্যবস্থাপনা পরিষদ যেই শর্তে ও যেইভাবে স্থির করিবেন সেইভাবে এইরূপ বাজেয়াপ্ত শেয়ার বিক্রয় বা অন্য প্রকারে হস্তান্তর করিতে পারিবেন। বিক্রয় বা হস্তান্তরের পূর্বে এবং সাধারণ সভায় অনুমোদনের পূর্বে যে কোন সময়ে ব্যবস্থাপনা পরিষদ বাজেয়াপ্ত করার আদেশ প্রত্যাহার করিতে পারিবেন ।
(গ) কাহারও শেয়ারের টাকা বাজেয়াপ্ত হইলে তাহার সদস্যপদের অবসান হইবে। বাজেয়াপ্তিকালে সমিতিতে তাহার কোন দেনা থাকিলে তাহা পরিশোধ করিতে তিনি বাধ্য থাকিবেন ।
২৩. ঋণ ও আমানতঃ
(ক) সমিতির সাধারণ সভায় অনুমোদন গ্রহণ করিয়া ঋণ প্রদানের অথবা প্রযোজ্য ক্ষেত্রে আমানত গ্রহণের পরিমাণগত সীমা এবং উহা পরিশোধের শর্ত নির্ধারণ করা যাইবে।
(খ) সমিতির সদস্য নহে এমন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নিকট হইতে সমিতি ঋণ গ্রহণ করিতে পারিবে।
(গ) ব্যবস্থাপনা পরিষদ সমিতির তহবিল উন্নয়নের জন্য ঋণপত্র ইস্যু করিতে পারিবে। ঋণপত্র সদস্যগণের মধ্যেই সীমিত রাখিতে হইবে।
(ঘ) সমিতি উহার পরিশোধিত শেয়ার মূলধন এবং রিজার্ভ ফান্ডের মধ্যে সমিতির বাহিরে পৃথকভাবে যেই পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ রহিয়াছে তাহার সর্বোচ্চ ২০ গুণের বেশী অর্থ ঋণ গ্রহণ করিতে পারিবে না ।
(ঙ) কোন বিশেষ পরিস্থিতিতে সমিতির সাধারণ সভার অনুমোদনক্রমে সমিতি উহার পরিশোধিত শেয়ার মূলধন এবং রিজার্ভ ফান্ডের মধ্যে সমিতির বাহিরে পৃথকভাবে যেই পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ রহিয়াছে তাহার সর্বোচ্চ ২০ গুণ বেশি অর্থ ঋণ প্রদান করিতে পারিবে না।
২৪. তারল্য তহবিল (লিকুইড কভারেজ)
(ক) সমিতির আমানতের এমন পরিমাণ অংশ এমনভাবে সংরক্ষিত রাখিতে হইবে যাহা পরবর্তী ৬ (ছয়) মাসের মধ্যে ফেরত দিতে হইবে যাহা অতি সহজেই নগদ অর্থে রুপান্তর করা যাইবে। যথা-
(১) সাধারণ পরিষদ কর্তৃক অনুমোদিত পরিমাণ অর্থ নগদে সংরক্ষণ বা ব্যাংকে সংরক্ষণ ।
(২) সরকারী নিশ্চয়তা পত্র (সিকিউরিটিজ), প্রাইজবন্ড ইত্যাদিতে বিনিয়োগ
(৩) ডাকঘর সঞ্চয় হিসাবে জমা ।
২৫. মূলধন ব্যবহারঃ
(ক) সমিতির মূলধন নিম্নলিখিতভাবে ব্যবহৃত হইবেঃ
(১) মূলধন হইতে সদস্যগণকে ঋণ/অগ্রিম দেওয়ার জন্য ।
(২) সমিতির কার্য সুচারুরুপে চালাইবার জন্য জমি ও গৃহাদি ক্রয় এবং গৃহাদি নির্মাণ কাজে।
(৩) কর্মচারীদের বেতনের খরচ ও অন্যান্য খরচ, আমানতের মুনাফা, অডিট ফি ও অন্যান্য আবশ্যকীয় খরচ মেটানোর জন্য।
(৪) সংরক্ষিত তহবিল, অনাদায়ী ঋণ তহবিল, অন্যান তহবিল গঠন এবং লভ্যাংশ, রিবেট, বোনাস, পারিতোষিক, পারিশ্রমিক দেওয়র জন্যা।
(৫) সাধারণ পরিষদের অনুমতি ব্যতিরেকে অডিট ফি ভিন্ন বাজেট বহির্ভুত অন্য কোন খরচা যথা- কর্মচারীদের বেতনাদি ও বিবিধ খরচ, মুনাফা ইত্যাদি খাতে ব্যয় করা যাবে না।
(খ) সমিতির উদ্বৃত্ত ও অব্যবহৃত মূলধন সরকারী/বেসরকারী তফসিলী ব্যাংকে সঞ্চয়ী, স্থায়ী বা মেয়াদী আমানত হিসেবে গচ্ছিত রাখা বা খাটনো বা বিনিয়োগ করা যাইবে।
২৬. ঋণ ব্যবস্থাপনাঃ
(ক) ব্যবস্থাপনা পরিষদের সিদ্ধান্তক্রমে কেবল সদস্যগণকে ঋণ দেওয়া যাইবে।
(খ) ঋণ তিন প্রকারের হইবে।
(১) স্বল্প মেয়াদী ঋণ যাহা ১২ মাসের মধ্যে পরিশোধযোগ্য।
(২) মধ্যম মেয়াদী ঋণ যাহা ২৪ মাসের মধ্যে পরিশোধযোগ্য।
(৩) দীর্ঘ মেয়াদী ঋণ যাহা ৪৮ মাসের মধ্যে পরিশোধযোগ্য।
(খ) ঋণ গ্রহণের আবেদনপত্র নির্ধারিত নিয়মে বিনিয়োগ সম্পাদকের নিকট দাখিল করিতে হইবে।
(গ) ব্যবস্থাপনা পরিষদ বিশেষ বিবেচনায় ন্যায্য কারণে ঋণের আবেদন না মঞ্জুর করিতে পারিবে।
(ঘ) সমিতির ব্যবস্থাপনা পরিষদ কর্তৃক নির্ধারিত ফর্মে নিম্নোক্ত তথ্যসহ ঋণের আবেদন করিতে হইবেঃ
(১) তাহার দেনা ও সম্পত্তির বিবরণ, ব্যবসায়ী হইলে ট্রেড লাইসেন্স/দোকানের ডিড এর কপি
(২) তাহার বাৎসরিক আয়
(৩) পূর্বের ঋণের আসল (যদি থাকে) ও সুদসহ কিস্তির অর্থের পরিমাণসহ বাৎসরিক ব্যয়
(৪) প্রাথীর ঋণ পরিশোধের জন্য অবশিষ্ট উদ্বৃত্ত এবং
(৫) ঋণ গ্রহণের উদ্দেশ্য।
২৭. ঋণ ও অগ্রিম মঞ্জুরের সীমাবদ্ধতাঃ
সমিতির কোন সদস্যকে তাহার ক্রয়কৃত শেয়ার মূলধনের ২০(বিশ) গুণের অধিক পরিমাণ অর্থ ঋণ প্রদান করা যাইবে না। তবে সম্পূর্ণ ঋণের দেড়গুণ পরিমাণ জামানত প্রদান করিতে হইবে।
২৮. ঋণ ও অগ্রিম গ্রহণ যোগ্যতাঃ
(ক) ব্যবস্থাপনা পরিষদ এতদসংক্রান্ত বিধিমালা অনুসারে প্রতি বছর প্রত্যেক সদস্যের ঋণ গ্রহণ যোগ্যতা স্থির করিবেন।
(খ) ফসল উৎপাদন ও শিল্প কার্যের জন্য এমন কোন ঋণ দেওয়া যাইবে না যাহা উৎপাদন দ্রব্যের মূল্য হইতে পরিশোধ করা সম্ভব নয়।
(গ) সমিতির বিধিবদ্ধ সকল পাওনা পরিশোধ করিতে হইবে।
(ঘ) বকেয়া কিস্তি কিংবা আদায়যোগ্য পাওনা পরিশোধ করিতে হইবে।
২৯. ঋণ ও অগ্রিমের মুনাফাঃ
সকল প্রকার ঋণ ও অগ্রিম বিনিয়োগের মুনাফার হার সাধারণ সভা অথবা সাধারণ সভার অনুমোদন সাপেক্ষে ব্যবস্থাপনা পরিষদ কর্তৃক নির্ধারিত হইবে।
৩০. ঋণ ও অগ্রিমের জামিনদার/জামানতঃ
(ক) স্বল্প মেয়াদী ২৫,০০০/- (পঁচিশ হাজার) টাকা পর্যন্ত ঋণের জন্য একজন এবং ২৫,০০০/- (পঁচিশ হাজার) টাকার উর্ধে ৫০,০০০/- (পঞ্চাশ হাজার) টাকা পর্যন্ত ঋণের জন্য দুইজন এবং তাহার অধিক হইলে তিনজন জামিনদার দিতে হইবে। জামিনদারকে সমিতির সদস্য হইতে হইবে।
(খ) ব্যবস্থাপনা পরিষদ ইচ্ছা করিলে ব্যক্তিগত জামিনদারের অতিরিক্ত হিসেবে অন্য যে কোন প্রকার গ্রহণযোগ্য জামানত লইতে পারিবে।
(গ) ব্যবস্থাপনা পরিষদ কোন সদস্যের গচ্ছিত শেয়ার/আমানতের শতকরা ৭৫ (পঁচাত্তর) টাকা পর্যন্ত ব্যক্তিগত জামিনদার না লইয়া ঋণ দিতে পারিবে।
(ঘ) ব্যবস্থাপনা পরিষদ কোন সদস্যকে তাহার গচ্ছিত পণ্যের বিরাজমান বাজার দরের মূল্যের শতকরা ৭৫ টাকা পর্যন্ত অগ্রিম দিতে পারিবে। কিন্তুু উক্ত গচ্ছিত পণ্যের মূল্য কমিতে থাকিলে ব্যবস্থাপনা পরিষদ অতিরিক্ত উপযুক্ত জামানত/ সিকিউরিটি তলব করিতে পারিবে। পরিষদ কর্তৃক নির্ধারিত তারিখের মধ্যে জামানত না দিলে গচ্ছিত পণ্য যে কোন সময় পরিষদ বিক্রয় করিয়া সমিতির পাওনা আদায় করিতে পারিবে।
(ঙ) স্থাবর সম্পত্তি অথবা ব্যবস্থাপনা পরিষদের নির্ধারিত জামিনদার/জামানত না দিলে কোন মধ্যম মেয়দী ও দীর্ঘ মেয়াদী ঋণ দেওয়া হইবে না।
(চ) সদস্যদের আবেদন পত্র ব্যবস্থাপনা পরিষদ কর্তৃক বিবেচনা করিয়া ন্যায্য কারণ আছে মনে করিলে আবেদনপত্র মঞ্জুর কিংবা না-মঞ্জুর করিতে পারিবে।
(ছ) সাধারণ সভার অনুমোদন ভিন্ন কোন মধ্যম মেয়াদী বা দীর্ঘ মেয়াদী ঋণ দেওয়া যাইবে না।
৩১. ঋণ পরিশোধঃ
(ক) ব্যবস্থাপনা পরিষদ ঋণ প্রদানকালে পরিশোধের কিস্তি স্থির করিয়া দিবে। পরিশোধের কোন কিস্তি বিধিমালা অনুসারে নির্ধারিত বার্ষিক উদ্ভুত আয়ের অধিক হইবে না।
(খ) যদি কোন সদস্য ঋণের মুনাফা বা আসলের কিস্তির খেলাপ করেন এবং ব্যবস্থাপনা পরিষদ ঋণ পরিশোধের কাল বাড়াইয়া না দেন তাহা হইলে ঋণ প্রদানের শর্ত নির্বিশেষে ঋণের সমুদয় টাকা তৎক্ষণাৎ ফেরতযোগ্য বলিয়া গণ্য হইবে।
(গ) ব্যবস্থাপনা পরিষদ ইচ্ছা করিলে নগদ টাকার পরিবর্তে বিরাজমান বাজার দর অনুসারে উপযুক্ত পরিমাণ সামগ্রী লইয়া সদস্যের ঋণ পরিশোধ করিয়া লইতে পারিবে।
(ঘ) কোন সদস্য বিতাড়িত হইলে কিংবা অন্য কোন কারণে তাহার সদস্যপদের অবসান ঘটিলে তিনি যে শর্তে ঋণ লইয়া থাকুন না কেন তাহা তৎক্ষনাৎ দেয় বলিয়া গণ্য হইবে।
(ঙ) উপরোল্লিখিত উপ-ধারাসূহে যাহাই থাকুক না কেন ব্যবস্থাপনা পরিষদ প্রয়োজনে ৩০ (ত্রিশ) দিনের নোটিশ দিয়া যে কোন সময় পাওনা টাকা ফেরৎ চাহিতে পারিবে। কিন্তুু কেবলমাত্র বিশেষ ক্ষেত্রে এবং আমানতকারীরা একযোগে সমুদয় টাকা ফেরৎ চাইলে এই ক্ষমতা ব্যবহার করা যাইবে।
৩২. ব্যবসা পরিচালনা সমিতি ডিপার্টমেন্টাল ষ্টোর ও অন্যান্য ব্যবসা বা সামাজিক-সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান বা ক্রীড়া প্রতিষ্ঠান পরিচালনা বা ইহার স¤পত্তি লিজ প্রদানসহ নিন্মোক্ত ব্যবসা পরিচালনা করিতে পারিবেঃ
(ক) সমিতির ব্যবসায়িক স্বার্থে অন্য স্থানে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান বা দোকান স্থাপন করা।
(খ) রপ্তানীমুখী শিল্প-কারখানার কাঁচামাল আমদানী, শিল্প উৎপাদিত পণ্য, ও অপ্রচলিত পণ্য রপ্তানীর ব্যবস্থা করা।
(গ) ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে যে কোন আমদানী-রপ্তানী ব্যবসা, ইন্ডেন্টিং ব্যবসা, বাইং হাউজ পরিচালনা, দেশে বাণিজ্যিক প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণ ।
(ঘ) বিক্রির উদ্দেশ্যে বা ব্যবহারের উদ্দেশ্যে জমি /প্লট ক্রয়/বিক্রয়, এপার্টমেন্ট ক্রয়/তৈরী/বিক্রয়, বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে নির্মিত মার্কেট, কমপ্লেক্স, বাণিজ্যিক ভবন ক্রয়/ভাড়া গ্রহণ ও প্রদান, ইজারা গ্রহণ/প্রদান অথবা পজেশন ক্রয়/ বিক্রয়/লিজ গ্রহণ করা।
(ঙ) ব্যবস্থাপনা পরিষদ সাধারণ পরিষদের সিদ্ধান্তক্রমে সমিতির উন্নতিকল্পে সদস্য ব্যতীত অন্যদের সহিত যৌথভাবে ব্যবসায়িক কাজ কারবার ও লেন-দেন চালাইতে পারিবে।
(চ) সাধারণ পরিষদের অনুমোদন লইয়া অন্য যেকোন ব্যবসা পরিচালনা করা যাইবে।
৩৩. কর্মকান্ড ও কর্মসূচিঃ
সমিতির উদ্দেশ্য সাধনের জন্য ব্যবস্থাপনা পরিষদ উন্নয়নমূলক প্রকল্প গ্রহণ করিতে পারিবে এবং প্রকল্পের কার্য সুচারুরুপে চালানোর জন্য কার্যবিধিমালা রচনা করিতে পারিবে। ব্যবস্থাপনা পরিষদ আবশ্যক বোধ করিলে উক্ত কর্মসুচী ও কার্যবিধিমালা রদবদল করিতে পারিবে।
৩৪. সমিতির চুড়ান্ত কর্তৃপক্ষঃ
(খ) সমিতির চুড়ান্ত কর্তৃত্ব উহার সাধারণ পরিষদের উপর ন্যস্ত থাকিবে।
(খ) সমিতির সাধারণ সভায় সমিতির কার্যক্রম বিশেষ করিয়া ব্যবস্থাপনা পরিষদের কার্যক্রম পরীক্ষা করা যাইবে।
(গ) সমিতির বার্ষিক বাজেট, উন্নয়ন পরিকল্পনা ও প্রকল্প প্রস্তাব বাস্তবতার আলোকে যাচাইপূর্বক অনুমোদন করিবে।
(ঘ) সমিতির স্বার্থে প্রয়োজনীয় সব ধরণের পদক্ষেপ গ্রহণের ক্ষমতা সাধারণ পরিষদের থাকিবে।
৩৫. সভার নোটিশ প্রদান বা প্রেরণের পদ্ধতিঃ
(ক) সমিতি কর্তৃক সদস্যকে নোটিশ দিতে হইলে বিধিমালায় প্রণীত পদ্ধতি, আইন, নিয়মাবলী এবং উপ-আইন মান্য করিয়া উক্ত নোটিশ লিখিতভাবে সদস্যের রেজিষ্ট্রিকৃত ঠিকানায় ডাকযোগে পাঠাইতে হইবে বা হাতে দিয়া আসিতে হইবে। যখন নোটিশ ডাকযোগে প্রেরিত হইবে তখন যথাযথভাবে দেওয়ার প্রমাণ স্বরূপ গৃহীত হইবে।
(খ) সদস্য কর্তৃক সমিতিকে কোন নোটিশ দিতে হইলে উহা সমিতির রেজিষ্ট্রিকৃত ঠিকানায় ডাকযোগে বা অন্যভাবে সমিতির কোন কর্মকর্তার নিকট প্রেরণ করিতে হইবে।
(গ) যদি কোন সদস্য সমিতির কোন নোটিশ না পান তাহা দ্বারা অধিবেশন সম্বন্ধীয় নোটিশ হইলে উক্ত সভার কার্য বাতিল হইবে না।
(ঘ) এই উপ-আইন অনুসারে যখন কোন নোটিশ বা দলিল কোন সদস্যের বা তাহার প্রতিনিধির নিবন্ধনকৃত ঠিকানায় প্রেরিত হইবে, তখন উক্ত সদস্য মৃত হইয়া থাকিলে এবং সমিতি উহা অবগত থাকুক বা না থাকুক এই উপ-আইনের উদ্দেশ্য সাধনের জন্য উক্ত মৃত সদস্যের মনোনীত ব্যক্তি, উত্তরাধিকারী বা অন্য কোন আইনানুযায়ী প্রতিনিধিকে উক্ত নোটিশ বা দলিল দেওয়া হইয়াছে বলিয়া গণ্য করা হইবে।
(ঙ) সাধারণত কোন ঈদের ছুটির সময় কমপক্ষে ১৫ দিনের নোটিশে সাধারণ সম্পাদক সাধারণ পরিষদের সভা আহবান করিবেন।
(চ) বার্ষিক সাধারণ সভার অধিবেশনের নোটিশ ১৫(পনের) দিন পূর্বে প্রত্যেক সদস্যকে উদ্ধৃতপত্রসহ জারী করিতে হইবে। নোটিশে অধিবেশনের স্থান, কাল, তারিখ ও আলোচনার বিষয় সুনির্দিষ্ট থাকিবে কিন্তু যে বার্ষিক সাধারণ সভায়
নির্বাচন সংক্রান্ত বিষয় থাকে সে ক্ষেত্রে ৬০ (ষাট) দিন পূর্বে নোটিশ জারী করিতে হইবে।
(ছ) সদস্যগণের দাবীর প্রেক্ষিতে সাধারণ সভা আহুত হইলে আবেদনকারী সদস্যগণের নামের তালিকাসহ লিখিত দাবীপত্রের কপি সকল নোটিশের সহিত সংযুক্ত আকারে জারী করিতে হইবে।
(জ) দৈবক্রমে বা ভূলবশত: কোন সদস্যকে নোটিশ দেওয়া না হইলে বা কোন সদস্য নোটিশ না পাইলে তাহা দ্বারা সভার কার্য বা বৈধতা বাতিল হইবে না।
(ঝ) সাধারণ সভার নোটিশে সভার স্থান, ব্যবস্থাপনা পরিষদের নির্বাচনের ক্ষেত্রে ভোট গ্রহণের স্থান, তারিখ, সময় এবং অন্যান্য আলোচ্যসূচি ও গৃহীতব্য কার্যক্রমসমূহ উল্লেখ থাকিতে হইবে।
(ঞ) সাধারণ সভার তারিখ,সময় ও স্থান সমিতির অফিসে নোটিশ বোর্ডে অথবা খবরের কাগজে নির্বাচনের অন্ততঃ ১৫ দিন পূর্বে প্রকাশ করিতে হইবে। কোন সদস্যকে নির্বাচনের খবর খবরের কাগজে প্রকাশ করিলে পৃথকভাবে নোটিশ দেওয়া হইবে না ।
৩৬. বার্ষিক সাধারণ সভা ও নির্বাচনঃ
(ক) প্রতি কার্যকরী বৎসরে অন্ততঃ একটি বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠান করিতে হইবে।
(খ) সমিতির কার্য পরিচালনার জন্য ১টি ব্যবস্থাপনা পরিষদ থাকিবে। উক্ত ব্যবস্থাপনা পরিষদের নির্বাচন এই আইনের আলোকে সম্পন্ন করিতে হইবে।
(গ) সমিতির রেজিষ্ট্রি হওয়ার ১২(বার) মাসের মধ্যে প্রথম বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠান করিতে হইবে।
(ঘ) বার্ষিক সাধারণ সভায় নিম্নলিখিত আলোচ্যসূচী থাকিবে ঃ
(১) বিগত বার্ষিক সাধারণ সভাসহ বিশেষ সাধারণ সভার কার্যবিবরণী অনুমোদন,
(২) ব্যবস্থাপনা পরিষদের কার্যক্রমের উপর বাৎসরিক রিপোর্ট পর্যালোচনা,
(৩) বার্ষিক হিসাব বিবরণী বিবেচনা ও অনুমোদন,
(৪) উদ্ধৃতপত্র ও নিরীক্ষা প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও এর সুপারিশ বাস্তবায়ন,
(৫) পরবর্তী আর্থিক বৎসরের জন্য প্রাক্কলিত বাজেট পর্যালোচনা ও অনুমোদন,
(৬) ঋণ গ্রহণের সর্বোচ্চ সীমা নির্ধারণ,
(৭) সমিতির কোন সদস্য বা কর্মচারী কর্তৃক কোন অভিযোগ বা সদস্যপদ সংক্রান্ত বিষয়ে সাধারণ সভা অনুষ্ঠানের কমপক্ষে ৩০ দিন পূর্বে কোন নোটিশ সমিতিতে দাখিল করা হইলে উক্ত বিষয়ে শুনানী, পর্যালোচনা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ,
(৮) সমিতির কর্মচারী নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়, তাহাদের বেতন নির্ধারণ ও সার্ভিস রুল অনুমোদন,
(৯) ব্যবস্থাপনা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠান বা ব্যবস্থাপনা পরিষদের সকল বা বিশেষ কোন সদস্যের বহিষ্কার বা সমিতির অন্য কোন সদস্যকে বহিষ্কার,
(১০) উপ-আইন সংশোধন বা পুন:প্রণয়ন।
৩৭. বিশেষ সাধারণ সভাঃ
(ক) সমিতির এক চতুর্থাংশ সদস্য লিখিত দাবী করিলে এইরূপ বিশেষ সাধারণ সভা আহবান করিতে হইবে।
(খ) বিশেষ সাধারণ সভা আহবানের জন্য সদস্যের লিখিত দাবীর সহিত উহার উদ্দেশ্য উল্লেখ থাকিতে হইবে এবং উহাতে এক চতৃর্থাংশ সদস্যের স্বাক্ষরযুক্ত করিয়া সমিতির নিবন্ধিত ঠিকানায় যথা নিয়মে দাখিল করিতে হইবে।
(গ) বিশেষ সাধারণ সভা যে বিষয়ে আহুত হইবে সেই বিষয় ব্যতীত অন্য বিষয় আলোচনা করা যাইবে না।
৩৮. সাধারণ সভার সভাপতি
(ক) ব্যবস্থাপনা পরিষদের নির্বাচন সংক্রান্ত সাধারণ সভায় নির্বাচন পর্বে নির্বাচন পরিষদ সভাপতি সভাপতিত্ব করিবেন।
(খ) সাধারণ সভায় উপস্থিত সদস্যগণ কর্তৃক সাধারণ সভায় সভাপতি নির্বাচন করিবেন তবে উক্ত সাধারণ সভায় সভাপতি নির্বাচিত না হওয়া পর্যন্ত সমিতির সভাপতি অথবা তাহার অবর্তমানে সহ-সভাপতি সাধারণ সভায় সভাপতিত্ব করিবেন এবং সভাপতি ও সহ-সভাপতির অনুপস্থিতিতে উপস্থিত সদস্যগণ তাহাদের মধ্য হইতে একজনকে সভাপতি করিবেন।
(গ) সাধারণ সভার সভাপতি অধিবেশনের শৃংখলা রক্ষা করিবেন এবং আলোচ্য বিষয়াদি এমনভাবে বিবেচনা করিবেন যাহাতে দ্রুততার সহিত এবং সন্তোষজনকভাবে সভার কার্য সুসম্পন্ন হয় ।
(ঘ) সভাপতি যে কোন সদস্যকে সভায় বিশৃংখলা সৃষ্টির দায়ে সভাস্থল থেকে বহিষ্কার করিতে পারিবেন। উক্ত বহিস্কৃত সদস্য অনতিবিলম্বে সভাস্থল ত্যাগ করিবেন এবং সভাপতির অনুমতি ব্যতীত পুনরায় সভায় উপস্থিত হইতে পারিবেন না।
(ঙ) সভা পরিচালনায় বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হইলে সভাপতি সভার কার্যক্রম স্থগিত করিয়া মূলতবী সভা অনুষ্ঠানের তারিখ ও সময় ঘোষণা করিবেন।
৩৯. সাধারণ সভার কোরামঃ
(ক) সমিতির সাধারণ সভার কোরাম হইবে মোট সদস্য সংখ্যার ১/৫(এক পঞ্চমাংশ) সদস্যের উপস্থিতিতে।
(খ) অধিবেশনের কার্য আরম্ভ হইবার নির্দিষ্ট সময়ের এক ঘন্টার মধ্যে কোরাম সংখ্যক সদস্য উপস্থিত না থাকিলে সভা মূলতবী হইবে।
(গ) সাধারণ সভা মূলতবী হইলে এবং সভার সভাপতি লিখিতভাবে কারণ উল্লেখপূর্বক ভিন্ন কোন তারিখ, সময় ও স্থান নির্ধারণ না করিলে পরবর্তী সপ্তাহে একই দিনে ও সময়ে একই স্থানে মূলতবী সভা অনুষ্ঠিত হইবে।
(ঘ) অধিবেশন চলিতে থাকাকালে যদি উপযুক্ত সংখ্যক সদস্য উপস্থিত না থাকেন এবং এই ব্যাপারে যদি সভাপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয় তবে তিনি সভা মূলতবী রাখিবেন এবং মূলতবী সভায় উপস্থিত সদস্য সংখ্যা যাহাই হউক না কেন অবশিষ্ট
আলোচনার বিষয়গুলি আলোচিত হইতে পারিবে।
(ঙ) কোন অধিবেশনে উপযুক্ত সংখ্যক সদস্য উপস্থিত থাকিলেও যদি সদস্যগণ ইচ্ছা প্রকাশ করেন, তাহা হইলে সভাপতি সভার অনুমতিক্রমে প্রয়োজনবোধে ভিন্ন তারিখ, সময় ও স্থান নির্ধারণ করিয়া সভা মূলতবী রাখিতে পারিবেন।
(চ) নির্বাচন ব্যতীত অন্য কোন উদ্দেশ্যে আহুত বিশেষ সাধারণ সভায় কোরাম পূর্ণ না হইলে সভা বাতিল বলিয়া গণ্য হইবে।
(ছ) মূলতবী অধিবেশনে পূর্বের অধিবেশনের আলোচ্য বিষয়ের অবশিষ্ট বিষয় ভিন্ন অন্য বিষয়ে আলোচনা হইতে পারিবে না।
(জ) কোন অধিবেশন ০৬(ছয়) সপ্তাহ বা ততোধিক কালের জন্য মূলতবী থাকিলে মূলতবী অধিবেশনের নোটিশ পূর্ববৎ জারী করিতে হইবে।
৪০. সাধারণ সভায় সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও ভোটানুষ্ঠানঃ
(ক) সাধারণ সভার প্রত্যেকটি সিদ্ধান্ত সদস্যগণের ভোটাধিক্যে গৃহীত হইবে। যদি ভোট সংখ্যা সমান হয় তাহা হইলে সভাপতির একটি দ্বিতীয় বা অতিরিক্ত ভোট দেওয়ার ক্ষমতা থাকিবে। এইরূপ ভোট হাত তোলা বা গোপন ভোট দ্বারা স্থিরিকৃত হইবে।
(খ) যদি গোপন ভোটের দাবী হয় তাহা হইলে সভাপতি কর্তৃক নির্দিষ্টভাবে উহা গ্রহণ করা হইবে এবং গোপন ভোটের ফলাফল সিদ্ধান্ত বলিয়া গণ্য হইবে।
(গ) যদি সভাপতি নির্বাচন বা সভা মূলতবী রাখা সম্মন্ধে গোপন ভোটের দাবী হয় তাহা হইলে উহা তৎক্ষণাৎ গ্রহণ এবং গোপন ভোটের ফলাফল সিদ্ধান্ত বলিয়া গণ্য হইবে।
৪১. সাধারণ সভার কার্যবিবরণীঃ
(ক) সমিতির সাধারণ সভার কার্যবিবরণী একটি ভিন্ন খাতায় লিখিতভাবে রক্ষিত হইবে।
(খ) ঐ খাতায় উপস্থিত সদস্যগণের নাম, মন্তব্য (যদি থাকে) এবং সভার অন্যান্য বিবরণী লিখিতে হইবে এবং পরবর্তী অধিবেশনে পেশ করিতে হইবে।
৪২. সমিতির বিভিন্ন পরিষদঃ
(ক) সমিতির কাজ সুষ্ঠভাবে পরিচালনা ও তত্ত্বাবধানের জন্য নিম্মোক্ত পরিষদ থাকিবে:
(১) উপদেষ্টা পরিষদ (২) ব্যবস্থাপনা পরিষদ (৩) সাধারণ পরিষদ (৪) নির্বাচন পরিষদ
(খ) উক্ত পরিষদসমূহ এই উপ-আইন ও তদধীনে প্রণীত বিধি-বিধান অনুযায়ী নির্বাচিত হইবে। নির্বাচিত পরিষদ সমিতির গঠন ও রেজিষ্ট্রি সংক্রান্ত যাবতীয় খরচ করিতে পারিবে এবং সাধারণ সভার জন্য নির্দিষ্ট ক্ষমতা ভিন্ন অন্যান্য যে কোন ক্ষমতা ব্যবহার করিবে। আইন, উপ-আইন ও সমিতি প্রণীত কার্যবিধি মান্য করিয়া সমিতির কার্য সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য এবং সমিতির উদ্দেশ্য সর্ব প্রকার সফল করিবার জন্য যেই সমস্ত ক্ষমতার দরকার তাহা কমিটি ব্যবহার করিতে পারিবে এবং যে চুক্তি করা প্রয়োজনীয় তাহা করিতে পারিবে।
৪৩. সমিতির উপদেষ্টা পরিষদঃ
ব্যবস্থাপনা পরিষদের সভায় গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৭ সদস্যের একটি উপদেষ্টা পরিষদ গঠন করা হইবে। ব্যবস্থাপনা পরিষদ উপদেষ্টা মনোনয়ন করিবে। উপদেষ্টা পরিষদ প্রতি ছয় মাসে একবার সভায় মিলিত হইবে। উপদেষ্টা পরিষদের কাছে ব্যবস্থাপনা পরিষদ সম্পাদক সমিতির কর্ম তৎপরতা সম্পর্কে প্রতিবেদন পেশ করিবে। উপদেষ্টা পরিষদ ব্যবস্থাপনা পরিষদকে কোন পরামর্শ দান করিলে ব্যবস্থাপনা পরিষদ তাহা বাস্তবায়ন করিবে। ব্যবস্থাপনা পরিষদের সভাপতি উপদেষ্টা পরিষদের সভাপতির দায়িত্ব পালন করিবেন।
৪৪. সমিতির ব্যবস্থাপনা পরিষদঃ
(ক) সাধারণ সদস্যদের সংখ্যা গরিষ্ট ভোটে প্রতি ২(দুই) বছরের জন্য নিম্নরূপ
ব্যবস্থাপনা পরিষদ নির্বাচিত হইবে:
ক্রমিক পদবিঃ
১। সভাপতি - ১ জন
২। সিনিয়র সহ-সভাপতি - ১ জন
৩। সহ-সভাপতি - ১ জন
৪। সাধারণ সম্পাদক - ১ জন
৫। সহ-সাধারণ সম্পাদক - ১ জন
৬। সাংগঠনিক সম্পাদক _১ জন
৭। অর্থ সম্পাদক -১ জন
৮। শিক্ষা, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক - ১ জন
৯। সমাজ কল্যাণ সম্পাদক - ১ জন
১০। তথ্য, প্রকাশনা ও প্রচার সম্পাদক - ১ জন
১১। বিনিয়োগ বিষয়ক সম্পাদক - ১ জন
১২। মহিলা বিষয়ক সম্পাদক - ১ জন
১৩। দপ্তর সম্পাদক - ১ জন
১৪। নির্বাহী সদস্য - ২ জন
মোট সদস্য সংখ্যাঃ ১৫ জন
(খ) ব্যবস্থাপনা পরিষদ সদস্যদের প্রথম সভার তারিখ হইতে ২(দুই) বৎসর মেয়াদের জন্য দায়িত্ব পালন করিবে এবং উক্ত কমিটি উহার মেয়াদ পূর্তির পূর্বে পরবর্তী ব্যবস্থাপনা পরিষদের নির্বাচন সম্পন্ন করিবে।
(গ) ব্যাবস্থাপনা পরিষদের কোন পদ হঠাৎ শুন্য হইলে এই পরিষদ তাহা পরবর্তি মেয়াদের জন্য কো-অপশনের মাধ্যমে পূরণ করিতে পারিবে।
(ঘ) স্থায়ী সদস্য ব্যাতিত অন্যকেউ ব্যবস্থাপনা পরিষদে নির্বাচনের যোগ্য হইবেন না।
(ঙ) বর্ণিত মেয়াদকালের মধ্যে ব্যবস্থাপনা পরিষদ কর্তৃক নির্বাচন সম্পন্ন করা না হইলে মেয়াদ পূর্তির সাথে সাথে উক্ত পরিষদ বিলুপ্ত হইবে এবং সাধারণ পরিষদ সমিতির ব্যবস্থাপনা নির্বাহ ও নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য ৬ মাস মেয়াদের একটি অন্তবর্তি ব্যবস্থাপনা পরিষদ নিয়োগ করিবে।
(চ) অন্তবর্তীকালিন ব্যবস্থাপনা পরিষদ বিশেষ সাধারণ সভা আহবান করিয়া বর্ণিত মেয়াদের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করিবে এবং নির্বাচিত পরিষদের নিকট অবিলম্বে দায়িত্বভার হস্তান্তর করিবে।
(ছ) অন্তবর্তীকালিন ব্যবস্থাপনা পরিষদ বর্ণিত মেয়াদের মধ্যে নির্বাচন সম্পন্ন করিতে ব্যর্থ হইলে মেয়াদ পূর্তির সাথে সাথেই উক্ত পরিষদ বিলুপ্ত হইবে। সাধারণ পরিষদ পুনরায় একটি অন্তবর্তীকালিন ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠন করিবে।
৪৫. নির্বাচন পরিষদ নিয়োগ
(ক) সমিতির নির্বাচন অনুষ্ঠানের কমপক্ষে ৩০ (ত্রিশ) দিন পূর্বে ব্যবস্থাপনা পরিষদ কর্তৃক নির্বাচনের জন্য ৩ (তিন) সদস্য বিশিষ্ট এবটি নির্বাচন পরিষদ গঠন করিবে। উক্ত নির্বাচন পরিষদের একজন সভাপতি ও দুইজন সদস্য থাকিবে।
(খ) নির্বাচন পরিষদের কোন সদস্যই সমিতির নির্বাচনে প্রার্থী হইতে পারিবে না।
(গ) নির্বাচন পরিষদের সভাপতিসহ সদস্যগণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের দায়িত্ব পালনের জন্য সমিতির তহবিল হইতে সাধারণ সভা কর্তৃক নির্ধারিত পরিমাণ দায়িত্ব/সম্মানি ভাতা পাইবেন।
৪৬. নির্বাচন পরিষদের কার্যক্রমঃ
(ক) সমিতির নির্বাচন অনুষ্ঠানের ন্যুনতম ১৫ (পনেরো) দিন পূর্বে নির্বাচন পরিষদ নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করিবে এবং তদানুযায়ী নির্বাচনী কার্য সম্পাদন করিবে।
(খ) এই পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্যে প্রয়োজনীয় সংখ্যক পোলিং অফিসার নিয়োগ করিতে পারিবে।
(গ) নির্বাচন পরিষদ কর্তৃক উহার বিভিন্ন সভায় কার্যবিবরণী সদস্যগণের স্বাক্ষরসহ একটি রেজিষ্টার বহিতে সংরক্ষণ করিবে।
(ঘ) সমিতির ভোট গ্রহণ শেষে সমস্ত মনোনয়নপত্র, ব্যালট পেপার, কাউন্টার ফয়েল, বৈধ, অবৈধ, বাতিলকৃত ও অব্যবহৃত ব্যালট পেপার সমূহ (যদি থাকে) এবং নির্বাচন পরিষদের স্বাক্ষরিত ফলাফল, রেজিষ্টার বহিতে লিপিবদ্ধ করিয়া পৃথকভাবে সীল গালা লাগাইয়া সমিতির সভাপতি কিংবা সম্পাদক এর নিকট বুঝাইয়া দিবে এবং প্রাপ্তি স্বীকারোক্তি হিসাবে রেজিষ্টার বহিতে স্বাক্ষর গ্রহণ করিবে।
৪৭. নির্বাচন বিধি ও নিয়মাবলীঃ
(ক) প্রতি দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে নির্বাচনের জন্য সাধারণ সদস্যদের দ্বারা ব্যবস্থাপনা পরিষদের কর্মকর্তাদের প্রস্তাব উপস্থাপিত হইবে।
(খ) নির্বাচনের প্রস্তাবের ফলাফল সঙ্গে সঙ্গেই প্রকাশ করা হইবে। প্রস্তাবিত কর্মকর্তাদের প্রস্তাবকের ও সমর্থকের সহি ও ঠিকানাসহ নির্বাচনের পূর্বে সভাপতির নিকট দাখিল করিতে হইবে। কর্মকর্তা পদে প্রয়োজনের অতিরিক্ত প্রস্তাব/প্রার্থী থাকিলে ভোট গ্রহণ করিয়া নির্বাচন করা হইবে । ভোট ব্যালটের সাহায্যে গ্রহণ করা হইবে এবং একই কেন্দ্রে ব্যালট বাক্সে ভোট গ্রহণ করা হইবে।
(গ) প্রত্যেক পদের জন্য প্রস্তাব ফরম/আবেদনে প্রার্থীদের নিজ নিজ দস্তখত থাকিতে হইবে। একই ব্যক্তি একই পদে প্রয়োজনের অতিরিক্ত সংখ্যক ব্যক্তির প্রস্তাবক হইতে পারিবে না । এইরূপ করিলে উক্ত প্রাথীর আবেদন বাতিল বলিয়া গণ্য হইবে।
(ঘ) সমিতির সভাপতি ইচ্ছা করিলে যে কোন বিশিষ্ট ব্যক্তিকে নির্বাচনের সভাপতি মনোনয়ন করিতে পারিবেন। সমিতির পূর্ববর্তী বৎসরের সভাপতি পরবর্তী বৎসরের সভাপতি পদের জন্য প্রার্থী থাকিলে উপস্থিত বিশিষ্ট ব্যক্তি দ্বারা উক্ত নির্বাচন কার্য পরিচালনা করিবেন।
(ঙ) কোন সদস্যের বার্ষিক চাঁদা বকেয়া থাকিলে তিনি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করিতে পারিবেন না।
(চ) কোন ব্যক্তি অন্য ভোটারের পরিবর্তে ভোট দিতে পারিবেন না।
(ছ) নির্বাচনে যেই প্রার্থী সবচেয়ে বেশী ভোট পাইবেন তিনিই নির্বাচিত বলিয়া গণ্য হইবেন। যদি দুইটি প্রার্থী সমান ভোট পাইয়া থাকে তবে সভার সভাপতির নির্ণায়ক ভোট যেই প্রার্থীকে দিবেন তিনিই নির্বাচিত বলিয়া চুড়ান্তভাবে গ্রহণ করা হইবে।
৪৮. নির্বাচিত ব্যবস্থাপনা পরিষদের দায়িত্বভার গ্রহণঃ
(ক) নির্বাচিত ব্যবস্থাপনা পরিষদ নির্বাচনী ফলাফল ঘোষণার ১৫ (পনের) দিনের মধ্যে অথবা বিদ্যমান ব্যবস্থাপনা পরিষদের মেয়াদ কালের মধ্যে যাহা পূর্বে হয় সভা অনুষ্ঠানপূর্বক দায়িত্বভার গ্রহণ করিবে।
(খ) নির্বাচিত ব্যবস্থাপনা পরিষদ সমিতির দায়িত্ব গ্রহণের নিমিত্তে সভা অনুষ্ঠানের কোরামের জন্য মোট ৫০% পদে নির্বাচিত প্রার্থী থাকিতে হইবে।
(গ) সমিতির ব্যবস্থাপনা পরিষদকে যাবতীয় কার্যভার লিখিতভাবে গ্রহণ করিতে হইবে। দায়িত্ব গ্রহণপত্রে বিশেষ বিশেষ ফাইল বা আসবাবপত্রের উল্লেখ করিতে হইবে। ব্যাংকের পাশ বই ও চেক বই এর নম্বর, ব্যাংক ও হাতে কত টাকা আছে উল্লেখ করিতে হইবে।
(ঘ) কার্যভার গ্রহণপত্র তিন কপি কাগজে প্রস্তুত করিতে হইবে। প্রত্যেক কপিতে উভয়ের দস্তখত ও তারিখ থাকিতে হইবে। এক কপি অফিসের রেকর্ডে থাকিবে।
৪৯. ব্যবস্থাপনা পরিষদের ক্ষমতাঃ
(ক) এই উপ-আইনে যে সকল সাধারণ ক্ষমতা দেওয়া হইয়াছে উহা খর্ব না করিয়া নিম্নলিখিত বিশেষ ক্ষমতাগুলি ব্যবস্থাপনা পরিষদের উপর ন্যাস্ত থাকিবে।
(১) নতুন সদস্য ভর্তি।
(২) সাধারণ সভার অনুমোদনক্রমে আইন, বিধি, উপ-আইন এর বিধান মোতাবেক বর্তমান কোন সদস্যকে অপসারণ, বহিস্কার বা সদস্যপদ স্থগিত অথবা জরিমানা করা।
(৩) তহবিল উন্নীতকরণ।
(৪) তহবিল বিনিয়োগ।
(৫) সমিতির স্বার্থে মামলা দায়ের, পরিচালনা বা আপোষ করা।
(৬) ঋণ আবেদনপত্র নিষ্পত্তি এবং তদবিপরীতে জামানত নির্ধারণ করা।
(৭) সমিতির কার্য নির্বাহের জন্য বেতন ভোগী বা অবৈতনিক কর্মচারী নিয়োগ ও তাহাদের কর্তব্য নির্ধারণ করা।
(৮) সমিতির কার্য পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় পরিকল্পনা ও কার্যবিধি রচনা করা।
(৯) বিশেষ ধরণের কাজের জন্য উপ-কমিটি গঠন করা।
(১০) সমিতির দৈনন্দিন কাজের জন্য কোন উপ-কমিটি গঠন করা যাইবে না।
(খ) সমিতির ব্যবস্থাপনা পরিষদ বার্ষিক ২০,০০,০০০/= (২০ লক্ষ) টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগ করিতে পারিবে। তবে ২০,০০,০০০/= (বিশ লক্ষ) টাকার উর্ধে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সাধারণ সভার পূর্বানুমোদন প্রয়োজন হইবে।
(গ) ব্যবস্থাপনা পরিষদ সমিতির কার্যাদি সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার উদ্দেশ্যে নিয়োগ কমিটি গঠনপূর্বক উপযুক্ত সংখ্যক বেতনভূক্ত কর্মকর্তা/কর্মচারী উন্মুক্ত প্রতিযোগিতার মাধ্যমে নিয়োগ করিতে পারিবে।
৫০. ব্যবস্থাপনা পরিষদের দায়িত্ব ও কার্যাবলিঃ
(ক) আইন, বিধি ও উপ-আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে ব্যবস্থাপনা পরিষদ নিম্নরূপ দায়িত্ব পালন করিবেঃ
(১) বার্ষিক বাজেট প্রণয়ন, সাধারণ সভায় তাহা অনুমোদন করানো, বাজেট বাস্তবায়নে আর্থিক লেন-দেন সম্পাদন।
(২) সমিতির সম্পদ ও দেনাসহ আয়-ব্যয়ের সঠিক হিসাব সংরক্ষণ।
(৩) বার্ষিক সাধারণ সভায় উপস্থাপনের জন্য হিসাব সংক্রান্ত বার্ষিক রির্পোট প্রণয়ন।
(৪) সমিতির কার্যাবলী সংক্রান্ত বার্ষিক রিপোর্ট প্রণয়ন।
(৫) বার্ষিক হিসাব বিবরণী সংরক্ষণ যাতে
(ক) নগদ অর্থের হিসাব ( ক্যাশ একাউন্ট)
(খ) উদ্ধৃত্তপত্র (ব্যালেন্স সীট)
(গ) লাভ লোকসান হিসাব (প্রফিট এন্ড লস্ একাউন্ট)
(ঘ) লাভ লোকসান আবন্টন হিসাব
(ঙ) নিরীক্ষার উদ্দেশ্যে প্রয়োজনীয় হিসাব বিবরণী প্রণয়ন
(৬) সমিতির বিভিন্ন হিসাব সম্বলিত উপযুক্ত হিসাবের বহি ইত্যাদি অন্তর্ভূক্ত থাকিবে।
(৭) সদস্য বহি হালনাগাদ করিয়া সংরক্ষণ।
(৮) সমিতি পরিদর্শনে ক্ষমতাবান কর্তৃপক্ষকে পরিদর্শন কাজে সহায়তা।
(৯) যথাসময়ে সমিতির বার্ষিক সাধারণ সভা আহবান।
(১০) সমিতি কর্তৃক প্রদত্ত ঋণ ও অগ্রিম যে উদ্দেশ্যে প্রদত্ত হইয়াছে সেই উদ্দেশ্যে ব্যয় হইয়াছে কিনা এবং সঠিকভাবে উহা আদায় হইতেছে কিনা তাহা লক্ষ্য রাখা।
(১১) সমিতির সাধারণ সভার প্রদত্ত অন্যান্য দায়িত্ব পালন।
(খ) সমিতির উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে ব্যবস্থাপনা পরিষদ সার্বিক কর্ম সম্পাদনে যথাযথ ভূমিকা ও নির্বাহী দায়িত্ব পালন করিবে। প্রতি বছর জানুয়ারি মাসে ব্যবস্থাপনা পরিষদ সাধারণ পরিষদের সভার আয়োাজন করিবে। সাধারণ পরিষদের সভায় সমিতির সার্বিক কর্ম তৎপরতা ও আয়-ব্যয়ের বিবরণী পেশ করিতে হইবে।
(গ) বিভিন্ন সময়ে নির্দিষ্ট কাজের জন্য ব্যবস্থাপনা পরিষদ উপ-কমিটি গঠন করিতে পারিবে।
(ঘ) পদত্যাগ বা অন্য কোন কারণে ব্যবস্থাপনা পরিষদের কোন স¤পাদকের পদ শুন্য হইলে উক্ত শুন্য পদে অবশিষ্ট মেয়াদের জন্য নির্বাহী সদস্যকে দায়িত্ব প্রদান করিতে পারিবে।
(ঙ) প্রশাসনিক ও সাংগঠনিক কার্যাবলী পরিচালনা, কর্মসূচী প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে ব্যবস্থাপনা পরিষদ হইবে সর্ব্বো”চ ক্ষমতাসম্পন্ন। হিসাব নিকাশ সংরক্ষণ ও পরিচালনা, সংগঠনের জন্য যে কোন যোগাযোগ, কর্মচারী নিয়োগ
এবং সংগঠনের স্বার্থ রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা ব্যবস্থাপনা পরিষদের দায়িত্বে থাকিবে।
(চ) নিয়োগকৃত কর্মকর্তা/কর্মচারীদের সুনির্দিষ্ট দায়িত্ব/কর্তব্য নির্ধারণ করা।
(ছ) উপ-আইনের কোন ব্যাখ্যার দরকার হলে তাহা ব্যাখ্যা করিবে।
(জ) ব্যবস্থাপনা পরিষদ সার্বিকভাবে সাধারণ পরিষদের নিকট দায়ী থাকিবে।
(ঝ) ব্যবস্থাপনা পরিষদের সকল কাজ স্ব”ছ ও জবাবদিহিতামূলক হইবে।
(ঙ) সাধারণ পরিষদের সভায় গৃহীত যে কোন সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য ব্যবস্থাপনা পরিষদ দায়ী থাকিবে।
(চ) সাধারণ পরিষদের সভা আহবানে ব্যবস্থাপনা পরিষদের ব্যর্থতার জন্য সমিতির মোট সদস্যের কমপক্ষে দুই ভাগের এক ভাগ সদস্য নিজেদের মধ্যে একজনকে আহবায়ক করে তলবী সভা আহবান করিতে পারিবেন।
৫১. সাধারণ পরিষদের গঠন ও দায়িত্ব-কর্তব্যঃ
সমিতির সকল নিয়মিত সদস্যদের সমন্বয়ে সাধারণ পরিষদ গঠিত হইবে। প্রতি বছর জানুয়ারী মাসে সাধারণ কমিটির বার্ষিক সভা অনুষ্ঠিত হবে। এক পঞ্চমাংশ সদস্যের উপস্থিতিতে সভার কোরাম পূর্ণ হইবে। প্রথম সভায় কোরাম পূর্ণ না হলে ১৫ দিন পর দ্বিতীয় সভা আহবান করা হইবে। দ্বিতীয় সভায় এক ষষ্ঠাংশ সদস্যের উপস্থিতিতে কোরাম পূর্ণ করবে। সাধারণ পরিষদের সভা আহবান ও সভার কার্যাবলি নিম্নোক্তরূপে সম্পাদিত হইবেঃ
(ক) ব্যবস্থাপনা পরিষদের সভাপতি সাধারণ পরিষদের সভায় সভাপতিত্ব করিবেন।
(খ) সাধারণ পরিষদের সভায় সাধারণ সম্পাদক বাষিক প্রতিবেদন পেশ করিবেন।
(গ) আভ্যন্তরিণ নিরীক্ষা টিমের আহবায়ক নিরীক্ষা প্রতিবেদন পেশ করিবেন। প্রতি বছর ডিসেম্বর মাসে ব্যবস্থাপনা পরিষদ নিরীক্ষা টিম গঠন করিবে। নিরীক্ষ্ াটিমে ব্যবস্থাপনা পরিষদের কোন সদস্য অন্তর্ভূক্ত হইতে পারিবেন না।
(ঘ) সাধারণ পরিষদ গঠনতন্ত্রের সংশোধন, পরিবর্তনের প্রস্তাব বিবেচনা করিবে এবং উপস্থিত সদস্যের দুই তৃতীয়াংশের সম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিবে। তবে উপ-আইনের সংশোধন সংক্রান্ত যে কোন প্রস্তাব লিখিত আকারে ন্যূনতম ৩০ দিন পূর্বে সম্পাদকের নিকট পৌঁছাইতে হইবে।
(ঙ) সাধারণ পরিষদের সভায় গৃহীত যে কোন সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য ব্যবস্থাপনা পরিষদ দায়ী থাকিবে।
(চ) সাধারণ পরিষদের সভা আহবানে ব্যবস্থাপনা পরিষদের ব্যর্থতার জন্য সমিতির মোট সদস্যের কমপক্ষে দুই ভাগের এক ভাগ সদস্য নিজেদের মধ্যে একজনকে আহবায়ক করে তলবী সভা আহবান করিতে পারিবেন।
৫২. ব্যবস্থাপনা পরিষদের সভাঃ
(ক) সমিতির কার্য চালাইবার জন্য প্রতি তিন মাসে কমপক্ষে একবার অথবা যতবার আবশ্যক ব্যবস্থাপনা পরিষদের অধিবেশন হইবে। কিন্তু সমিতির ব্যবস্থাপনা পরিষদের সভাপতির বিবেচনায় সভায় আলোচনাযোগ্য কোন বিষয় না থাকিবার কারণে নির্ধারিত সময়ে সভা আহবান অপ্রয়োজনীয় মর্মে বিবেচিত হইলে সভাপতি এইরূপ নোটিশের মাধ্যমে বিষয়টি ব্যবস্থাপনা পরিষদের সদস্যদের অবহিত করিবেন।
(খ) সমিতির ব্যবস্থাপনা পরিষদের সভা সাধারণত সমিতির নিবন্ধিত কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হইবে।
(গ) প্রত্যেক সদস্যকে সভার অধিবেশনের অন্ততঃ সাত দিন পূর্বে স্থান, কাল, তারিখ ও সভার আলোচ্য বিষয় উল্লেখ করিয়া লিখিত নোটিশ দিতে হইবে।
(ঘ) সভাপতি উপস্থিত থাকিলে পরিষদের সভায় সভাপতিত্ব করিবেন। সভাপতির অনুপস্থিতিতে সিনিয়র সহ-সভাপতি এবং তাঁহার অনুপস্থিতিতে সহ-সভাপতি সভায় সভাপতিত্ব করিবেন অথবা তাহারা উপস্থিত না থাকিলে উপস্থিত সদস্যগণ তাহাদের
মধ্য হইতে একজন সদস্যকে সভার সভাপতি নির্বাচন করিবেন।
(ঙ) সভার প্রত্যেক প্রস্তাব ভোটাধিক্যে মীমাংসিত হইবে এবং দুইপক্ষের ভোট সমান হইলে সভাপতি একটি দ্বিতীয় বা সিদ্ধান্তমূলক ভোট দিতে পারিবেন।
(চ) ব্যবস্থাপনা পরিষদ কোন বিশেষ কারণে বিশেষ সভার অধিবেশন আহবান করিতে পারিবে।
(ছ) এইরূপ বিশেষ অধিবেশনের নোটিশে উল্লেখিত বিষয় ভিন্ন অন্য কোন বিষয় আলোচিত হইবে না।
(জ) ব্যবস্থাপনা পরিষদের সভার জন্য বিশেষভাবে রক্ষিত খাতায় উপস্থিত সদস্যগণের স্বাক্ষরসহ কার্যবিবরণী লিখিত হইবে। পরিষদের পরবর্তী অধিবেশনে তাহা অনুমোদনের জন্য পেশ করা হইবে এবং উক্ত সভার সভাপতি উহাতে স্বাক্ষর করিবেন।
৫৩. ব্যবস্থাপনাা পরিষদের সভার কোরামঃ
(ক) ব্যবস্থাপনা পরিষদের ১৪ জন সদস্যের উপস্থিতিতে এ সভায় কোরাম পূর্ণ হইবে এবং কোরাম পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত সভার কার্য আরম্ভ করা যাইবে না। নির্ধারিত সময়ের পরবর্তী এক ঘন্টা পর্যন্ত কোরামের জন্য অপেক্ষা করিতে হইবে এবং উল্লেখিত সময়ের মধ্যে কোরাম পূর্ণ না হইলে আহুত সভা মুলতবী হইবে।
(খ) কোরাম পূর্ণ না হওয়া বা অন্য কোন কারণে সভা মুলতবী হইলে ৭ দিনের মধ্যে মুলতবী সভা অনুষ্ঠিত হইবে এবং মূলতবী সভার জন্য এক তৃতীয়াংশ সদস্যের উপস্থিতিতে কোরাম হইবে। ৭ দিনের মধ্যে মুলতবী সভা অনুষ্ঠিত না হইলে ঐ সভা আর অনুষ্ঠান করা যাইবে না। নতুন করে সভা আহবান করিতে হইবে।
৫৪. ব্যবস্থাপনা পরিষদের তলবী সভাঃ
(ক) ব্যবস্থাপনা পরিষদের অর্ধেকের বেশি সংখ্যক সদস্য অন্ততঃ সাত দিন সময় প্রদান করিয়া সমিতির সভাপতিকে তলবী সভা আহবানের জন্য অনুরোধ করিতে পারিবেন এবং উত্তরূপ তলবীপত্র প্রাপ্তির সাথে সাথে ব্যবস্থাপনা পরিষদের সকল সদস্যকে নোটিশ প্রদান করিয়া সভাপতি ব্যবস্থাপনা পরিষদের সভা আহবান করিবেন।
(খ) সভাপতি তলবী সভা আহবান করিতে অনাগ্রহী হইলে সম্পাদক উক্ত সভা আহবান করিতে পারিবেন এবং তলবী সভার জন্য প্রদত্ত তলবীপত্রে এইরূপ সভা আহবানের উদ্দেশ্য সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করিয়া যে সকল সদস্য সভা তলব করিতে চাহেন তাহাদের স্বাক্ষরে সমিতির কার্যালয়ে জমা প্রদান করিতে হইবে।।
(গ) পূর্বে উল্লেখিত কোন বিষয় ব্যতীত উক্তরূপ তলবী সভায় অন্য কোন বিষয়ে আলোচনা করা যাইবে না।
৫৫. ব্যবস্থাপনা পরিষদর বিভিন্ন পদের দায়িত্ব-কর্তব্য ও ক্ষমতাঃ
ক. সভাপতি, সিনিয়র সহ সভাপতি ও সহ-সভাপতির দায়িত্ব-কর্তব্য ও ক্ষমতা
(১) সাধারণ সভা ও ব্যবস্থাপনা পরিষদের সভায় প্রদত্ত ক্ষমতা/ কর্তব্য অনুযায়ী তাহারা কার্য সম্পাদন করিবেন।
(২) সমিতির কোন জরুরী অবস্থার প্রেক্ষিতে সভাপতির অনুপস্থিতিতে সিনিয়র সহ-সভাপতি এবং সিনিয়র সহ-সভাপতির অনুপস্থিতিতে সহ-সভাপতি সমিতির স্বার্থে ঋণ বরাদ্দ ব্যতিত সমিতির ব্যবস্থাপনা পরিষদের সকল প্রকার ক্ষমতা প্রয়োগ
করিতে পারিবেন।
(৩) ব্যবস্থাপনা পরিষদের যেই সকল ক্ষমতা ও কর্তব্য আছে বিশেষ জরুরী প্রয়োজনে সভাপতি অথবা সভাপতির অনুপস্থিতিতে সিনিয়র সহ-সভাপতি এবং সিনিয়র সহ-সভাপতির অনুপস্থিতিতে সহ-সভাপতি তাহা স¤পাদন করিবেন এবং পরবর্তি ব্যবস্থাপনা পরিষদের অধিবেশনে ঘটনাত্তোর অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করিবেন। কিন্তু সভাপতি বা সিনিয়র সহ-সভাপতি বা সহ-সভাপতি অবস্থা বিশেষে ব্যবস্থাপনা পরিষদের কোন সভার সিদ্ধান্ত বা গৃহীত প্রস্তাবের বিরুদ্ধে কার্য করিতে পারিবেন না অথবা ব্যবস্থাপনা পরিষদের যেই সকল বিশেষ ক্ষমতা ও কর্তব্য নির্ধারিত আছে তাহা ব্যবহার করিতে পারিবেন না।
(৪) সমিতির কোন বিষয়ে ব্যবস্থাপনা পরিষদের পূর্ব সিদ্ধান্ত থাকিলে তাঁহারা উক্ত সিদ্ধান্তের পরিপন্থি কোন কার্যক্রম গ্রহণ করিতে পারিবেন না।
(৫) সমিতির সভাপতি বা সভাপতির অনুপস্থিতিতে সিনিয়র সহ-সভাপতি এবং সিনিয়র সহ-সভাপতির অনুপস্থিতিতে সহ-সভাপতি কর্তৃক প্রদত্ত সকল আদেশ উক্তরূপ ক্ষমতা প্রয়োগের অব্যবহিত পরবর্তী সভায় ব্যবস্থাপনা পরিষদের সদস্যগণের অবগতির জন্য উপস্থাপন করিতে হইবে।
(৬) সভাপতি বিশেষ প্রয়োজনে বিভিন› বিভাগের সম্পাদক বা নির্বাহী সদস্যগণের মধ্যে বিশেষ দায়িত্ব প্রদান বা দায়িত্ব পুনঃবন্টন করিতে পারিবেন।
খ. সাধারণ সম্পাদক এর দায়িত্ব-কর্তব্য ও ক্ষমতা
ব্যবস্থাপনা পরিষদের সাধারণ কর্তৃত্বাধীনে সাধারণ সম্পাদক সমিতির কার্য পরিচালনা করিবেন এবং এতদুদ্দেশ্যে তিনি নিুলিখিত ক্ষমতা প্রয়োগ করিবেনঃ
(১) সমিতির কর্মচারী নিয়ন্ত্রণ।
(২) আদালতের বা অন্যত্র মামলা মোকদ্দমা দায়ের, তদ্ধির বা পরিচালনা করা।
(৩) সাাধারণ সভা ও ব্যবস্থাপনা পরিষদের সভা আহবান করা এবং ঐ সভায় যোগদান করা।
(৪) বাজেট অনুযায়ী সমিতির খরচের নিয়ন্ত্রণ।
(৫) সকল প্রকার প্রাপ্তি জমা নিয়ন্ত্রণ।
(৬) সকল প্রকার পরিচালনা খরচ এবং সমিতির তহবিল হইতে কর্মচারীদের বেতন, মামলা খরচ, পথ খরচ, কাগজপত্রাদি ছাপা, বিজ্ঞাপন, খাজনা ইত্যাদি আবশ্যকীয় খরচ করা।
(৭) পরিষদ কর্তৃক নির্দিষ্ট ব্যাংকে সমিতির পক্ষে গৃহীত সকল অর্থ অথবা সম্পত্তি গ”িছত রাখা।
(৮) সমিতির কার্যের ও তাহার হিসাবপত্রের যথাযথ ও নির্ভুল বিবরণ রাখা।
(৯) ব্যবস্থাপনা পরিষদের নির্দেশমতে কর্তৃপক্ষের সময়ে সময়ে জমা খরচের হিসাব দাখিল করা এবং বার্ষিক সাধারণ সভায় পূর্ববর্তী বছরের প্রতিবেদন পেশ করা।
(১০) ব্যবস্থাপনা পরিষদ কর্তৃক প্রদত্ত অন্যান্য দায়িত্ব পালন করা।
গ. যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এর দায়িত্ব-কর্তব্য ও ক্ষমতা
(১) সাধারণ সম্পাদকের সাময়িক অনুপস্থিতিতে যুগ্ম সম্পাদক সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করিবেন।
(২) সাধারণ সম্পাদকের সকল কাজে সহযোগিতা করিবেন।
(৩) সাধারণ সম্পাদকের পদ শুন্য হইলে অস্থায়ীভাবে সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করিবেন।
(৪) ব্যবস্থাপনা পরিষদ কর্তৃক প্রদত্ত অন্যান্য দায়িত্ব পালন করিবেন।
ঘ. অর্থ সম্পাদকের দায়িত্ব-কর্তব্য ও ক্ষমতা
সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক এর তত্বাবধানে কোষাধ্যক্ষ নিম্নলিখিত কার্য পরিচালনা করিবেনঃ
(১) সমিতির নগদ ও অন্যান্য গচ্ছিত মূল্যবান সম্পদ হেফাজত করা এবং তাহাদের হিসাব রাখা।
(২) ব্যবস্থাপনা পরিষদের নির্দেশ অনুসারে সমিতির পক্ষে সকল টাকা জমা করা এবং উক্ত জমার প্রামাণ্য রশিদ দেওয়া ও এর কপি সংরক্ষণ করা।
(৩) সমিতির ব্যাংক হিসাব সংরক্ষণ করা এবং ইহার সমস্ত দলিলপত্রাদি হেফাজত করা।
(৪) সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের পরামর্শ মোতাবেক বিভিন্ন খরচ করা এবং সমিতির অস্থাবর সম্পত্তি হেফাজত করা।
(৫) সমিতির যাবতীয় খরচের ভাউচারসমেত হিসাব সংরক্ষণ করা
৬) ব্যবস্থাপনা পরিষদ কর্তৃক প্রদত্ত অন্যান্য দায়িত্ব পালন করা।
ঙ. সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব-কর্তব্য ও ক্ষমতা
সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক এর তত্বাবধানে তিনি নিম্নলিখিত কার্য পরিচালনা করিবেনঃ
(১) তিনি সমিতির সংগঠন সংক্রান্ত যাবতীয় কার্য সম্পাদন করিবেন।
(২) তিনি সদস্য ভর্তি, সদস্যের বিরুদ্ধে যেকোন শাস্তিমূলক ও পুরস্কারমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ সংক্রান্ত কাজ স¤পাদন করিবেন।
(৩) তিনি অন্যান্য সংগঠন বা প্রতিষ্ঠানের সাথে সমিতির যেকোন প্রয়োজনে যোগাযোগ রক্ষা করিবেন।
(৪) ব্যবস্থাপনা পরিষদ কর্তৃক প্রদত্ত অন্যান্য দায়িত্ব পালন করিবেন।
চ. শিক্ষা, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক দায়িত্ব-কর্তব্য ও ক্ষমতা
(১) ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা।
(২) শিক্ষা সম্প্রসারণে ও শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়নে সহায়তা করা।
(৩) মেধা বিকাশে যাবতীয় কার্যক্রম গ্রহণ।
(৪) ব্যবস্থাপনা পরিষদ কর্তৃক প্রদত্ত অন্যান্য দায়িত্ব পালন।
ছ. সমাজ কল্যাণ সম্পাদকের দায়িত্ব ও কর্তব্য
(১) সমিতির সমাজ কল্যাণ বিষয়ক যাবতীয় দায়িত্ব পালন।
(২) সমিতির সদস্যদের, শিশুদের এবং মহিলাদের স্বাস্থ্যগত পরিসেবা বিষয়ে দায়িত্ব পালন।
(৩) সামাজিক প্রতিষ্ঠানসমূহের বিকাশে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদান।
(৪) ব্যবস্থাপনা পরিষদ কর্তৃক প্রদত্ত অন্যান্য দায়িত্ব পালন।
জ. তথ্য, প্রকাশনা ও প্রচার সম্পাদক
(১) সমিতির আইন ও বিধি এবং সমিতির কার্যক্রম প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ে দায়িত্ব পালন করবেন।
(৩) সমিতির পক্ষে বা বিরুদ্ধে মামলা দায়ের বা পরিচালনা বিষয়ক কার্যক্রম তদারক করা।
৩) সমিতির পক্ষে স্মরণিকা বা সাময়িক বার্তা, লিফলেট, বিজ্ঞাপন, ব্যানার ইত্যাদি প্রকাশের দায়িত্ব পালন।
(৪) পরিষদ কর্তৃক প্রদত্ত অন্যান্য দায়িত্ব পালন।
ঝ. বিনিয়োগ বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব-কর্তব্য ও ক্ষমতা
(১) ঋণের আবেদন গ্রহণ ও তা প্রক্রিয়াকরণ এবং ঋণ প্রস্তাব সভায় পেশকরণ।
(২) বিনিয়োগ প্রকল্প গ্রহণ।
(৩) ব্যবসা সংক্রান্ত যেকোন কার্যক্রম গ্রহণ।
(৪) ব্যবস্থাপনা পরিষদ কর্তৃক প্রদত্ত অন্যান্য দায়িত্ব পালন।
ঞ. মহিলা বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব-কর্তব্য ও ক্ষমতা
(১) সামাজিক কর্মকান্ডে নারীদের উদ্বুদ্ধকরণ।
(২) নারীদের কল্যাণে যেকোন কার্যক্রম গ্রহণ।
(৩) নারীদের আয়বর্ধক ও উৎপাদনমূখী কার্যক্রমে স¤পৃক্তকরণে ভূমিকা রাখা।
(৪) ব্যবস্থাপনা পরিষদ কর্তৃক প্রদত্ত অন্যান্য দায়িত্ব পালন।
ট. দপ্তর সম্পাদকের দায়িত্ব-কর্তব্য ও ক্ষমতা
(১) সমিতির অফিস পরিচালনা এবং তত্ত্বাবধান
(২) সমিতির নিয়োজিত কর্মচারীদের কার্যক্রম তদারকী
(৩) সাধারণ স¤পাদকের সাথে পরামর্শক্রমে অনুষ্ঠানাদি আয়োজন এবং আপ্যায়ন ব্যবস্থাপনা
(৪) ব্যবস্থাপনা পরিষদ কর্তৃক প্রদত্ত অন্যান্য দায়িত্ব পালন।
৫৬. আভ্যন্তরিণ তত্ত্বাবধান ও হিসাব নিরীক্ষা পদ্ধতি
(ক) সমিতির কার্যকরী মূলধন ১,০০,০০,০০০/= (এক কোটি) টাকার উর্ধে হইলে ৩ (তিন) সদস্য বিশিষ্ট আভ্যন্তরিণ নিরীক্ষা কোষ থাকিবে এবং উক্ত আভ্যন্তরিণ নিরীক্ষা কোষ সাধারণ সভা কর্তৃৃক ২(দুই) বছরের জন্য মনোনীত হইবে।
(খ) আভ্যন্তরিণ নিরীক্ষা কোষ কর্তৃক সমিতির আয়-ব্যয়ের হিসাব পরীক্ষা করাইবেন এবং নিরীক্ষা প্রতিবেদন তাহার মন্তব্যসহ সমিতির সভাপতির নিকট পেশ করিতে হইবে।
(গ) আভ্যন্তরিণ নিরীক্ষা কোষ কর্তৃক কোন আপত্তি উত্থাপিত করা হইলে তাহা ব্যবস্থাপনা পরিষদ নিষ্পত্তি করিবে এবং আভ্যন্তরিণ অডিট রিপোর্ট, বার্ষিক সাধারণ সভায় আলোচনার জন্য উপস্থাপন করিতে হইবে।
৫৭. ব্যবস্থাপনা পরিষদের সদস্য পদের অপসারণঃ
(ক) ব্যবস্থাপনা পরিষদ কর্তৃক নির্বাচিত সভাপতি ও সহ-সভাপতি এবং অন্যান্য কর্মকর্তা/সদস্যকে অপসারিত করিতে হইলে এই উদ্দেশ্যে আহুত বিশেষ সাধারণ সভায় উহা করিতে হইবে। নির্বাচিত কোন কর্মকর্তাকে সাধারণ সভা ভিন্ন
ব্যবস্থাপনা পরিষদের সভায় পদচ্যূত কিংবা অপসারণ করা যাইবে না।
(খ) নির্বাচিত ব্যবস্থাপনা পরিষদের কোন কর্মকর্তা/ সদস্য সমিতির সভাপতির লিখিত পূর্বানুমোদন ব্যতীত ব্যবস্থাপনা পরিষদের পরপর ৩(তিন) সভায় অনুপস্থিত থাকিলে ব্যবস্থাপনা পরিষদ উহার সভায় সিদ্ধান্ত গ্রহন করিয়া তাহাকে তাহার পদ হইতে সাময়িক বরখাস্ত করিতে পারিবে।
(গ) এইরূপ সাময়িক বরখাস্তের পূর্র্বে পর পর ২টি সভায় উক্ত সাময়িক বরখাস্ত কর্মকর্তা/ সদস্য অনুপস্থিত থাকিলে তাহাকে তাহার অনুপস্থিতি সম্পর্কে এবং পরবর্তী সভায় অনুপস্থিত থাকিলে তাহাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হইবে মর্মে লিখিতভাবে জানাইতে হইবে।
(ঘ) এইরুপ সাময়িক বরখাস্তের বিষয়টি পরবর্তি সাধারণ সভায় উপস্থাপন করে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নেওয়া হইবে।
৫৮. ব্যবস্থাপনা কমিটির কর্মকর্তা/সদস্য পদের বিলুপ্তি
ব্যবস্থাপনা পরিষদের কর্মকর্তার/সদস্য পদের বিলুপ্তি হইবে, যদিঃ
(ক) কোন কর্মকর্তা/সদস্য ব্যবস্থাপনা পরিষদে নির্বাচিত হইবার যোগ্যতা হারান।
(খ) উপ-আইন অনুসারে অযোগ্য বিবেচিত হন।
(গ) পদত্যাগ করেন অথবা মৃত্যুবরণ করেন।
৫৯. ব্যবস্থাপনা পরিষদের অভিষেকঃ
(ক) ব্যবস্থাপনা পরিষদের নব নির্বাচিত সদস্যগণ বিদ্যমান পরিষদের মেয়াদ পুর্তির তারিখে বা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার ১৫ (পনের) দিন এই দুইয়ের মধ্যে যেইটি আগে হয় সেই মেয়াদের মধ্যে সভা অনুষ্ঠানপূর্বক দায়িত্ব গ্রহণ করিবে।
(খ) উপধারা (ক) অনুযায়ী দায়িত্ব গ্রহণের পূর্বে উপ-আইনে বর্ণিত শপথবাক্য পাঠ করিতে হইবে। নির্বাচন পরিষদের প্রধান বা তাহার অনুপস্থিতিতে নির্বাচন পরিষদের অন্য সদস্য শপথবাক্য পাঠ ও স্বাক্ষর করাইবেন।
৬০. শপথবাক্যঃ
‘আমি----(নাম) --- পদ-------), সশ্রদ্ধচিত্তে শপথ করিতেছি যে, আমি উপ-আইনের বিধান অনুযায়ী আমার উপর অর্পিত দায়িত্ব সততা, নিষ্ঠা ও বিশ্বস্ততার সহিত পালন করিব। আমি ভীতি বা অনুগ্রহ, অনুরাগ বা বিরাগের বশবর্তী না হইয়া নিয়মানুযায়ী সকলের প্রতি সমান আচরণ করিব। সমিতির লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে আমি আমার মেধা ও শ্রমের সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করিতে সর্বদা সচেষ্ট থাকিব। আমিন!
৬১. লাভ বন্টনঃ
(ক) উপ-আইন ও বিধিমালার বিধান মান্য করিয়া অর্থ বছর শেষে নিম্নলিখিতভাবে সমিতির লাভ বন্টন করা হইবেঃ
(১) নীট লভ্যাংশের ২৫% সংরক্ষিত তহবিলে জমা হইবে।
(২) ঋণের জন্য এতদসংক্রান্ত বিধিমালা অনুসারে প্রবিশন রাখার পর সাধারণ পরিষদ কর্তৃক অবশিষ্ট লভ্যাংশের নির্ধারিত অংশ শেয়ারের বিপরীতে দেওয়া হইবে।
(খ) উপ-আইন ও বিধিমালা মান্য করিয়া এবং সাধারণ সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নীট লাভের অবশিষ্ট নিম্নলিখিত সকল বা যে কোন উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হইবেঃ
(১) কর্মচারীদের প্রদত্ত টাকার অনধিক পরিমাণ (তবে বেতনের ১৫% এর অধিক নহে) টাকা কর্মচারীদের প্রভিডেন্ট ফান্ডে জমা দেওয়া,
(খ) নীট মুনাফার সর্ব্বোচ ৫% ভাগ কর্মচারীদের উৎসাহ ভাতা প্রদানের জন্য সংরক্ষণ,
(গ) ব্যবস্থাপনা পরিষদের সুপারিশ মতে সাধারণ সভার মঞ্জুরী লইয়া প্রশংসনীয় কার্যের বোনাস দেওয়া
৬২. সংরক্ষিত তহবিলঃ
(ক) সমিতির সাধারণ সভায় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিয়া নিুোক্ত পরিমাণ সংরক্ষিত তহবিল সমিতির ব্যবসা পরিচালনার জন্য ব্যবহার করিতে পারিবেঃ যথা-
(১) সমিতির নিজস্ব মূলধন, ঋণকৃত মূলধন অপেক্ষা কম হইলে সংরক্ষিত তহবিলে সর্বোচ্চ ৫০%।
(২) সমিতির নিজস্ব মূলধন, ঋণকৃত মূলধনের সমান অথবা বেশী হইলে সংরক্ষিত তহবিলে সর্বোচৃচ ৭৫%।
(৩) সমিতির কোন ঋণকৃত মূলধন না থাকিলে সংরক্ষিত তহবিলের সম্পূর্ণ অংশ।
(খ) সমিতির সাধারণ সভায় সংরক্ষিত তহবিল ব্যবসার কাজে ব্যবহারের সর্বো”চ সীমা নির্ধারিত হইলেও উক্ত সীমার মধ্যে থাকিয়া সংরক্ষিত তহবিলে কি পরিমাণ অর্থ প্রকৃতপক্ষে সমিতির ব্যবসায় ব্যবহার করা হইবে তাহা সমিতির
ব্যবস্থাপনা পরিষদ সভায় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিতে হইবে।
৬৩. লভ্যাংশ (ডিভিডেন্ট) প্রদানঃ
(ক) সমিতি উহার সাধারণ সভায় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিয়া পরিশোধিত শেয়ার মূলধনের ৭৫% পর্যন্ত লভ্যাংশ প্রদান করিতে পারিবেন।
(খ) সমিতির ব্যবস্থাপনা পরিষদের সুপারিশ এবং সাধারণ সভার অনুমোদন ব্যতীত কোন লভ্যাংশ বিতরণ করা যাইবে না।
(গ) ব্যবস্থাপনা পরিষদের সুপারিশের প্রেক্ষিতে নীট মুনাফার সর্বোচ্চ ৫% অর্থ সমিতির বেতনভূক্ত কর্মচারীগণকে উৎসাহ ভাতা হিসাবে প্রদান করা হইবে।
(ঘ) উক্ত ভাতা কোনক্রমেই সংশ্লিষ্ট কর্মচারীর ২(দুই) মাসের বেতনের অধিক হইবে না।
৬৪. সদস্যগণকে উপ-আইন ও উদ্ধৃত্তপত্র সরবরাহঃ
সমিতির সদস্যগণ সমিতির উপ-আইন, হিসাবের উদ্ধৃত্তপত্র (ব্যালেন্স সীট) ও নিরীক্ষা প্রতিবেদনের কপি চাহিবার আবেদন করিলে ব্যবস্থাপনা পরিষদ কর্তৃক ধার্যকৃত মূল্য পরিশোধের মাধ্যমে উপরোক্ত রেকর্ড পত্রাদির কপি সরবরাহ করা যাইবে।
৬৫. খাতাপত্র পরিদর্র্শন এবং উহার প্রত্যায়িত অনুলিপি সববরাহঃ
(ক) সমিতির সদস্যগণ বিনা মূল্যে নিম্নলিখিত খাতাপত্র পরিদর্শন করিতে পারিবেনঃ
(১) উপ-আইন (২) সদস্যদের তালিকা বহি (৩) সর্বশেষ পরীক্ষিত হিসাব পত্রের উদ্ধৃত্তপত্র।
(৪) ব্যবস্থাপনা পরিষদের সদস্যদের তালিকা।
(খ) সাধারণ সদস্যগণ সমিতির কোন রেকর্ড পত্রের প্রত্যায়িত অনুলিপি পাইবার আবেদন করিলে ব্যবস্থাপনা পরিষদ কর্তৃক ধার্যকৃত নির্ধারিত ফি প্রদান সাপেক্ষে উক্ত রেকর্ড পত্রাদি সমিতির সম্পাদক কর্তৃক স্বাক্ষরিত প্রত্যায়িত
অনুলিপি পাইতে পারিবেন।
৬৬. উপ-আইন প্রণয়ন ও সংশোধনের পদ্ধতিঃ
(ক) সমিতির উপ-আইনের যে কোন ধারা পরিবর্তন অথবা নুতন উপ-আইন গ্রহণ করিতে হইলে সাধারণ সভায় সাধারণ সদস্যের সংখ্যা গরিষ্ঠের উপস্থিতিতে উহার উপ-আইন সংশোধন করা যাইবে এবং উপ-আইন সংশোধনের ক্ষেত্রে উক্ত সভায় উপস্থিত দুই তৃতীয়াংশ সদস্যের সম্মতির প্রয়োজন হইবে।
(খ) উপ-আইন পরিবর্তন সংক্রান্ত সভা আহবানের নোটিশ রেজি: ডাকযোগে প্রেরণ অথবা বাহক মারফত সংশ্লিষ্ট সদস্যগণের হাতে হাতে পৌঁছাইতে হইবে।
৬৭. হিসাবপত্রঃ
(ক) ব্যবস্থাপনা পরিষদ সমিতির সদস্যদের যাবতীয় হিসাবাদি সংরক্ষণের ব্যবস্থা করিবে।
(খ) সমিতির অর্থ জমা ও খরচ এবং উক্ত জমা খরচ কি কি বাবদ হইয়াছে তাহার হিসাব সংরক্ষণ করিতে হইবে। ।
(গ) দ্রব্যাদি ও সমুদয় ক্রয় বিক্রয়ের হিসাব সংরক্ষণ করিতে হইবে। ।
(ঘ) সমিতির দেনা ও পাওনার হিসাব সংরক্ষণ করিতে হইবে। ।
(ঙ) সমুদয় রশিদ, দলিল ও হিসাব বহির সাপেক্ষে রক্ষিত অন্যান্য কাগজ পত্রাদির হিসাব সংরক্ষণ করিতে হইবে। ।
(চ) হিসাব বহিগুলি সমিতির নিবন্ধনকৃত অফিসে রাখিতে হইবে এবং যে কোন সময়ে সদস্যগণ অফিস চলাকালীন সভাপতি ও সম্পাদকের উপস্থিতিতে উহা পরীক্ষা করিতে পারিবেন।
(ছ) ব্যবস্থাপনা পরিষদ যেইরূপ উচিত বিবেচনা করিবেন সেইরূপ আভ্যন্তরিণ পরিদর্শন ও হিসাব পরীক্ষার ব্যবস্থা করিতে পারিবে এবং নিবন্ধক সময় সময়ে যেইরূপ আভ্যন্তরিণ পরিদর্শনে নিয়ম নির্দিষ্ট করিবেন সেই নিয়ম পালন করিতে
হইবে।
৬৮. সমিতির পক্ষে দলিলাদি স্বাক্ষর করিবার ক্ষমতাঃ
সমিতির সম্পদ সৃষ্টি, হস্তান্তর বা অন্যান্যভাবে সমিতির সম্পদ এবং তহবিলের সংশ্লিষ্ট প্রকার চুক্তিপত্রের দলিল, নথিপত্র বিশেষ করিয়া সকল প্রকার লেন-দেনপত্র, ঋণপত্র, নিরাপত্তাপত্র এবং পরিষদের নামে অথবা তৎ কর্তৃক রক্ষিত অন্যান্য দলিলপত্রাদি স্বাক্ষর করা, আলোচনা ইত্যাদি সমিতির সভাপতি ও সম্পাদক যৌথভাবে স্বাক্ষর করিবেন অথবা সভাপতি বা সম্পাদকের যে কোন একজনের অনুপস্থিতিতে ব্যবস্থাপনা পরিষদের দুইজন সদস্য স্বাক্ষর করিতে পারিবেন। এই অবস্থা অবশ্যই সভাপতি, সম্পাদকের অনুপস্থিতিতে বা উপযুক্ত কারণে স্বাক্ষর করিতে অপারগ হইলে গ্রহনযোগ্য হইবে।
৬৯. বিধি-প্রবিধি ও নির্দেশিকা প্রণয়ন
এই উপ আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে এবং বিধানাবলী অনুধাবন, ষ্পষ্টীকরণ ও প্রয়োগের সুবিধার্থে ব্যবস্থাপনা পরিষদ বিধি-প্রবিধি (জঁষবং ধহফ জবমঁষধঃরড়হং) ও নির্দেশিকা (এঁরফবষরহবং) জারী করিতে পারিবে।
৭০. উপ-আইনের ব্যাখ্যাঃ
(ক) এই উপ-আইনের কোন কিছু অপর্যাপ্ত, অসুবিধানজনক অথবা অষ্পষ্ট অনুভুত হইলে ব্যবস্থাপনা পরিষদের সভায় গৃহীত সিদ্ধান্ত ও ব্যাখ্যা অনুযায়ী কাজ চালানো যাইবে। তবে শর্ত থাকিবে যে, এইরূপ সিদ্ধান্ত পরবর্তী সাধারণ পরিষদের সভায়
অনুমোদন করাইয়া লইতে হইবে।
(খ) এই উপ-আইনে যেই সকল বিষয় বর্ণিত হয় নাই সেই সকল বিষয় উক্ত আইন ও বিধিমালায় বিধৃত থাকিলে তাহা এই সমিতির জন্য প্রযোজ্য হইবে।
(গ) যেই সকল বিষয এই উপ-আইন এ বর্ণিত নাই তাহা এই সমিতির প্রয়োজনে উদ্ভূত হইলে ব্যবস্থাপনা পরিষদ অথবা সাধারণ পরিষদ কর্তৃক তাহা নিস্পত্তি করা হইবে।


No comments:
Post a Comment
পোস্ট টি কেমন লাগলো জানাবেন কিন্তু